ভোট কাটাকুটির খেলায় উত্তর প্রদেশে সব আসনে প্রার্থী শিবসেনার
Shiv Sena : বিজেপি এবং শিবসেনা, দুই দলেরই একটি বড় হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। যদিও উত্তর প্রদেশের মাটিতে সেই ভোট ব্যাঙ্ক কতটা কার্যকর হবে, তা কোনওদিনই পরীক্ষা হয়নি।
লখনউ : এবার উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি নিয়ে নামতে চলেছে শিবসেনা। সবক’টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিতে চলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। সামনেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। হাতে আর ছয় মাসও বাকি নেই। আর এর মধ্যেই উত্তর প্রদেশের মাটিতে নিজেদের পায়ের তলার মাটি মাপতে শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি দল। বিজেপি, কংগ্রেস তো ছিলই, এবার শিবসেনাও সেখানে প্রার্থী দিতে চলেছে।
শিবসেনা উত্তর প্রদেশের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শিবসেনা মানুষের কণ্ঠ হয়ে কাজ করবে। আর শিবসেনার প্রার্থীরা উত্তর প্রদেশের সব আসনে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে লড়বেন। প্রতিটি আসনে ভোটের লড়াই আরও জোরদার করার জন্য দলীয় স্তরে কো-অর্ডিনেটর নিয়োগ করা হয়েছে।
বিজেপির রাজনৈতিক ইতিহাসে সবথেকে দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ছিল শিবসেনা। সেই সম্পর্ক এখন ছিন্ন হয়েছে। এনডিএ ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের সব শক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চাইছে শিবসেনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান, ভোট কাটাকুটির খেলায় বিজেপিকে চাপে ফেলতেই এই কৌশলী চাল শিবসেনার।
বিজেপি এবং শিবসেনা, দুই দলেরই একটি বড় হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। যদিও উত্তর প্রদেশের মাটিতে সেই ভোট ব্যাঙ্ক কতটা কার্যকর হবে, তা কোনওদিনই পরীক্ষা হয়নি। কোনওরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ৪০৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ার অর্থ একটাই, বিজেপির হিন্দু ভোট ব্যাঙ্কের উপর থাবা বসানো। তবে এই থাবায় শেষ পর্যন্ত কার লাভ হবে তা এখনই বলা মুশকিল।
উত্তর প্রদেশের গড় আরও শক্ত করার মানে, ২০২৪ সালের লোকসভায় শুরু থেকেই এক পা এগিয়ে থাকা। আর এই বিষয়টি বিলক্ষণ বুঝতে পারছে বিজেপি নেতৃত্বও। আর তাই উত্তরপ্রদেশকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে তারাও। ভোটের এখনও মাস ছ’য়েক বাকি। যোগীরাজ্যকে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে তাই উত্তরপ্রদেশ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পোড় খাওয়া প্রহ্লাদ যোশীকে এবং সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
উত্তর প্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব পাঁচ জেলার সভাপতি নিয়োগ করেছে। আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিজেপি উত্তরপ্রদেশ নেতৃত্ব ৪০৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে নিচুতলার কর্মীদের জন্য বিশেষ কর্মিসভা শুরু করেছে। ৫ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের ১৭ টি শহরে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে চলবে এই কর্মিসভা।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র মাস ছ’য়েক বাকি। আগামী বছরের শুরুর দিকেই বিধানসভা ভোট হতে পারে যোগী রাজ্যে। এখন থেকেই গরম হতে শুরু করেছে ভোটের হাওয়া। শুরু হয়ে গিয়েছে তপ্ত বাক্য বিনিময়। আর এরই মধ্যে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে প্রতিটি শিবির।
আরও পড়ুন : যোগী-গড় ধরে রাখতে উত্তরপ্রদেশ ভোটের দায়িত্বে প্রহ্লাদ, ডেপুটি লকেট