Aryan Khan Drug Case: ‘ফাঁসানো হচ্ছিল আরিয়ানকে’, এবার NCB-র বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দাবি করল SIT
Aryan Khan Drug Case: বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো শুরু করে তল্লাশি অভিযানের সময় ভিডিয়ো রেকর্ডিং, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ক্ষেত্রেও কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নয়া দিল্লি: মাদক মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। এমনই জানানো হল বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির যে দলটি মুম্বই মাদক কাণ্ডে আরিয়ান খান ও ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল, তাদের কাছে যথাযথ প্রমাণ ছিল না। সঠিকভাবে তদন্তও করা হয়নি বলেই জানিয়েছে সিট। শুক্রবারই এনসিবির তরফে মাদক মামলায় ক্লিনচিট দেওয়া হয়। এরপরই এনসিবির তদন্ত নিয়েও একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো শুরু করে তল্লাশি অভিযানের সময় ভিডিয়ো রেকর্ডিং, এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ক্ষেত্রেও কোনও সমর্থনযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান বলেন, “মাদক মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে সোনালি নিয়মই হল তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা। কিন্তু এক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটাই ঘটেছে। খুবই অল্প তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত এগোনো ও গ্রেফতারি করা হয়েছিল। তদন্তের প্রতিটি ধাপেই গাফিলতি রয়েছে।”
এনসিবির তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মামলার দ্বিতীয়বার তদন্তের ক্ষেত্রে সন্দেহের তুলনায় প্রমাণের উপরই বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, এনসিবির তদন্তকারী দল তদন্তের সময় একাধিক নিয়মভঙ্গ করেছে। মাদক মামলায় আরিয়ান খানকে ইচ্ছাকৃতভাবে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
শুক্রবারই এনসিবির তরফে ৬ হাজার পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয় মুম্বই আদালতে। যে ১৪ জনের নাম প্রথমে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ না থাকায় চার্জশিটে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এরমধ্যে আরিয়ান খানও রয়েছেন।
যে ৬ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন আরিয়ান খান, সমীর সেহগাল, মানব সিংঘল, ভাস্কর অরোরা, গোপালজী আনন্দ ও অভিন সাহু।
যাঁদের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বিক্রান্ত চোক্কার, মোহক জয়সওয়াল, ইসমিত এস চাড্ডা, গোমিত চোপড়া, আব্দুল কাদের শেখ, শ্রেয়স সুরেন্দ্র নায়ার, মণীশ রাজগারহিয়া, চিনেদু ইগউয়ে, শিবরাজ আর হরিজন, নুপুর সাতিজা, ওকোরো উজ়েওমা, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচা ও অচিত কুমার।