Galwan Clash: কম্যান্ডারের মৃতদেহ দেখেই ভয়ে পালায় লাল ফৌজ, নদীতে নামতেই…গালোয়ান সংঘর্ষের আরও অজানা তথ্য ফাঁস!

38 PLA Soldiers Drowned in Galwan Clash: কর্নেল ফাবাওয়ের নির্দেশেই ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিনের সেনা। এদিকে কর্নেল ফাবাও নিজে চিনের জমিতে পালিয়ে যান। তাঁকে পালানোয় সাহায্য করতে দুই চিনা কম্যান্ডার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে। স্টিলের পাইপ, লাঠি ও পাথর দিয়ে তারা ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালায়।

Galwan Clash: কম্যান্ডারের মৃতদেহ দেখেই ভয়ে পালায় লাল ফৌজ, নদীতে নামতেই...গালোয়ান সংঘর্ষের আরও অজানা তথ্য ফাঁস!
গালোয়ান নদীতে নেমেও চিনা ফৌজকে তাড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2022 | 8:14 AM

নয়া দিল্লি: কদিন আগেই পর্দাফাঁস হয়েছে লাল ফৌজের। প্রায় দেড়বছর আগে পূর্ব লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনা সেনাবাহিনীর মধ্যে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (Galwan Clash) হয়েছিল, তাতে চিনের তরফে চারজন সৈন্যের মৃত্যুর দাবি করা হলেও, বছর পার করে আসল সত্যিটা তুলে ধরেছেন এক অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক। তিনিই জানিয়েছিলেন, গালোয়ান উপত্যকায় মোট ৩৮ জন চিনা সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন। এবার তারাই দাবি করলেন, ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪২ জন চিনা সেনার (Chinese Army) মৃত্যু হয়েছিল। এদের মধ্য়ে ৩৮ জনই গালোয়ান নদীর (Galwan River) জলে ডুবে মারা গিয়েছিলেন। ভারতীয় বাহিনীর ক্ষমতার সামনে টিকতে না পেরেই তারা পাততাড়ি গুটিয়ে পালাচ্ছিল, গালোয়ান নদীতে নামতেই জলের তোড়ে ভেসে যায় তারা।

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদপত্র ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’ তাদের নিজস্ব একটি সোশ্যাল মিডিয়া টিম গঠন করে গালোয়ান সংঘর্ষের সত্যতা যাচাই করতে নেমেছিল। সেখানেই  চিনের বেশ কিছু ব্লগার, সাধারণ নাগরিক এবং সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ক্ল্যাক্সন সংবাদপত্রের সম্পাদক অ্যান্থনি ক্ল্যান সম্প্রতিই এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, সংঘর্ষের পরে ভারতীয় জওয়ানরা দেখতে যান যে বাফার জ়োন থেকে চিন পিছু হটেছে কিনা। সেখান থেকে নদীর পাশ দিয়ে ফেরার পথেই যে সমস্ত কিছু প্রমাণ মেলে, তাতে বোঝা যায় যে বহু চিনা সৈন্য গালোয়ান নদীতে ভেসে গিয়েছে। ক্ল্যানের আরও দাবি, চিনের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল এই সমস্ত তথ্য।

কী দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে?

ক্ল্যাক্সনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় সেনার তরফে কর্নেল সন্তোষ বাবু ও তাঁর বাহিনী ২০২০ সালের ১৫ জুন ওই সংঘর্ষস্থলে যান চিনা দখলদারী করে যে সমস্ত তাঁবু খাটিয়েছিল, তা সরাতে। সেখানেই পিপলস লিবারেশন আর্মির কর্নেল কিউই ফাবাও প্রায় ১৫০ সেনা নিয়ে উপস্থিত ছিল। ৬ জুন দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার চুক্তি হলেও, তার নির্দেশেই লাল ফৌজের যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।

কর্নেল ফাবাওয়ের নির্দেশেই ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালায় চিনের সেনা। এদিকে কর্নেল ফাবাও নিজে চিনের জমিতে পালিয়ে যান। তাঁকে পালানোয় সাহায্য করতে দুই চিনা কম্যান্ডার ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করে। স্টিলের পাইপ, লাঠি ও পাথর দিয়ে তারা ভারতীয় জওয়ানদের উপর হামলা চালায়। এক ভারতীয় সেনার হাতে কর্নেল ফাবাওয়ের মাথায় চোট লাগার পরই তাঁকে তড়িঘড়ি চিনা ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘গালোয়ান ডিকোডেড’ নামক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্নেল ফাবাওকে পালাতে সাহায্যকারী দুই কম্যান্ডার হংজুন ও শিয়াংগ্রংকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই খতম করে ভারতীয় সেনা। তাদের মৃতদেহ দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে চিনা সেনা এবং গালোয়ান নদী পার করে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খরস্রোতা গালোয়ান নদীর জলের তোড়ের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তারা, ওই নদীর জলেই ভেসে যায় ৩৮ জন লাল ফৌজের জওয়ান।

চিনা সেনার পালানোর এতই তাড়া ছিল যে তারা নদীতে নামার জন্য বিশেষ প্যান্ট পরারও সময় পায়নি। গভীর রাতেই জেনারেল ওয়াংয়ের নেতৃত্বে বরফ জমা ঠান্ডা জলে নামে। কিন্তু সেই সময়ই নদীর জলস্তর বাড়তে থাকে। এর জেরেই চিনা সৈন্যদের পা হড়কে যায় এবং একে একে অনেকেই ভেসে যায়।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা