মোদী-যোগী সরকারকে ‘কৃষকদের ক্ষমতা’র পাঠ দেবে মহাপঞ্চায়েত! চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা

Farmers Mahapanchatyat in UP: ১৫ টি রাজ্য থেকে হাজার হাজার কৃষক ও কৃষি আন্দোলন সমর্থনকারীরা উত্তর প্রদেশে হাজির হয়েছে। কৃষকদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য় ৫০০টি লঙ্গরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মোদী-যোগী সরকারকে 'কৃষকদের ক্ষমতা'র পাঠ দেবে মহাপঞ্চায়েত! চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা
মহাপঞ্চায়েতে যোগ দিতে হাজির কৃষকরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 11:04 AM

লখনউ: কেটে গিয়েছে নয় মাস, তবুও দমেনি কৃষক আন্দোলন (farmers Protest)। তিন কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও আন্দোলন জারিই রেখেছে পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্যের কৃষকরা। শিক্ষক দিবসেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কৃষকদের শক্তির “পাঠ” পড়াতে আয়োজন করা হয়েছে মহাপঞ্চায়েতের (Maha Panchayat)। উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফর নগরে আয়োজিত এই মহাপঞ্চায়েতে ১৫টি রাজ্যের কৃষকরা এসে যোগ দিয়েছে বলেই দাবি সংযুক্ত কিসান মোর্চার।

৪০টি কৃষক সংগঠন নিয়ে গঠিত সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে, এই মহাপঞ্চায়েত প্রমাণ করে দেবে কৃষক আন্দোলন সমস্ত ধর্ম, জাতি, শ্রেণি ও বর্ণের মানুষই সমর্থন করছে। মোদী-যোগী সরকারকে কৃষকদের ক্ষমতা বোঝাতে শিক্ষক দিবসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। মুজাফ্ফরপুরের এই মহাপঞ্চায়েতই বিগত নয়মাসের বড় থেকে বড় পঞ্চায়েত সভা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবারই সংগঠনের তরফে জানানো হয়, ১৫ টি রাজ্য থেকে হাজার হাজার কৃষক ও কৃষি আন্দোলন সমর্থনকারীরা উত্তর প্রদেশে হাজির হয়েছে। কৃষকদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য় ৫০০টি লঙ্গরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে মোবাইল লঙ্গরও, যেখানে ট্রাক্টর ও ট্রলিতে করে খাবার বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে কোনও কৃষক অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাদের চিকিৎসার জন্য ১০০টি মেডিক্যাল ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছে।

ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ তিকাইত ও সাধারণ সম্পাদক যুধবীর সিং-ও এই মহা পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। রাকেশ তিকাইতের ছেলে চরণ সিং তিকাইত জানিয়েছেন, যতদিন অবধি সরকার এই তিন কালা আইন প্রত্যাহার করবে, ততদিন তাঁর বাবা বাড়ি ফিরবেন না বলেই স্থির করেছেন।

এদিকে, মহাপঞ্চায়েতে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করা হয়েছে। জেলার সমস্ত মদের দোকানও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, পঞ্জাবের ৩২টি কৃষক সংগঠনগুলির তরফে রাজ্য সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি আন্দোলনকারী কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগগুলি প্রত্যাহার না করা হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তারা।

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকেই কৃষকরা কেন্দ্রের জারি করা তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালাচ্ছে। দিল্লির তিন সীমানা, সিংঘু, তিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত দখল করে আন্দোলন চালাচ্ছে। তাদের দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্য়াহার করতে হবে এবং ফসলের ন্য়ূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে।

কেন্দ্রের তরফে ১০ দফা বৈঠকে বসলেও এখনও অবধি কোনও সুরাহা মেলেনি। এক থেকে দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখাক প্রস্তাবও দেওয়া হয়, কিন্তু কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অটল রয়েছে।  আরও পড়ুন: তালিবানদের সমর্থন করতে মরিয়া বাম-কংগ্রেস! বিস্ফোরক বিজেপি নেতা