TMC Stand in Parliament: সংসদে বিক্ষোভ-ধর্নায় ‘না’ তৃণমূলের, বিরোধী জোটের বদলে এবার কি ভরসা ‘একলা চলো’র নীতিতেই?

TMC Stand in Parliament: বাদল অধিবেশন শুরুর আগে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ফোন করেছিলেন। সেই সময়ে তৃণমূল সংসদে টিআরএসকে সমর্থন জানানোর কথাই জানিয়েছিল।

TMC Stand in Parliament: সংসদে বিক্ষোভ-ধর্নায় 'না' তৃণমূলের, বিরোধী জোটের বদলে এবার কি ভরসা 'একলা চলো'র নীতিতেই?
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। ছবি:ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2022 | 12:40 PM

নয়া দিল্লি: সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। আর অধিবেশনের তৃতীয় দিনেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব ফের একবার স্পষ্ট হল। যেখানে অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ একাধিক বিরোধী দল, সেখানেই নিশ্চুপ তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে কংগ্রেস ও সমমনোভাবাপন্ন একাধিক বিরোধী দল। কিন্তু সেই বিক্ষোভে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদদের। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানানো হয়, সংসদের ভিতরে বা বাইরে কোনও প্রকার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেবে না তৃণমূল। আপাতত ‘একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করেই চলতে চাইছে তৃণমূল।

কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের এই দূরত্বের আভাস গত বাজেট অধিবেশন থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস সহ একাধিক দল মূল্য়বৃদ্ধি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেও, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেই বিক্ষোভ-ধর্নায় যোগ দেওয়া হয়নি। বরং তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে তারা আলাদাভাবে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষেভ দেখিয়েছিল। এবারও অধিবেশন শুরুর আগে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী দলগুলির বৈঠকে যোগ দেয়নি তৃণমূল। অধিবেশন শুরু হওয়ার পরও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরা।

গতকালের মতো এদিনও কংগ্রেস ও সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলি খাদ্যপণ্যে জিএসটি বসানো ও দ্রব্যমূল্য় বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিক্ষোভ দেখায়। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস অংশ নেবে না বলেই জানিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, অধিবেশনের আগে বিরোধী দলগুলির বৈঠক এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে তাদের কিছু জানানো হয়নি। তাই এই কর্মসূচির অংশ হবেন না তারা।

তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও জানান যে, কংগ্রেসের তরফে তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সাংসদদের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কোনও নির্দেশও দেওয়া হয়নি উপর মহল থেকে। যদিও অপর এক সূত্রে খবর, সরকারের বিক্ষোভের নেতৃত্বে কংগ্রেস থাকার কারণেই এই দূরত্ব বজায় রাখছে তৃণমূল।

বাদল অধিবেশন শুরুর আগে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও সমমনোভাবাপন্ন বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ফোন করেছিলেন। সেই সময়ে তৃণমূল সংসদে টিআরএসকে সমর্থন জানানোর কথাই জানিয়েছিল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গেও কথা হয়েছিল কেসিআরের। তারাও টিআরএসকে সমর্থনের কথাই জানিয়েছিল। এর প্রতিফলনই দেখা গিয়েছিল গতকালের বিরোধীদের বিক্ষোভে। একদিকে যেমন কংগ্রেস মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়, একইভাবে টিআরএস-ও একই ইস্যুতে আলাদাভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও বিরোধী দলের মনোনীত প্রার্থী যশবন্ত সিনহা, যিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন, তার জায়গায় এনডিএ মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে জানলে মহিলা প্রার্থী  হিসাবেই দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানাতেন, এ কথাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।