ভরা সংসদে জ্যোতিরাদিত্যের রূপ নিয়ে খোঁটা, ‘সরি’ বলেও পার পেলেন না কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
Parliament: বিতর্কের মাঝেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার চেহারা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। "লেডি কিলার" বলে অ্যাখ্যা দেন সিন্ধিয়াকে। কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়।
নয়া দিল্লি: তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়(Kalyan Banerjee)-কে সাসপেন্ড করার দাবি। সংসদ উত্তাল হল তৃণমূল সাংসদের আচরণে। লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া(Jyotiraditya Scindia)-কে অশালীন আক্রমণ করলেন। বিতর্কিত সেই মন্তব্য বাদ দেওয়া হয়। তৃণমূল সাংসদ পরে ক্ষমা চেয়ে নিলেও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তা গ্রহণ করেননি।
বুধবার সংসদে আলোচনা হচ্ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা আইন নিয়ে। সেখানেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাকালে কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। তাঁর এই অভিযোগের জবাব দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
তর্ক-বিতর্কের মাঝেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার চেহারা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। “লেডি কিলার” বলে অ্যাখ্যা দেন সিন্ধিয়াকে। কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়। বিনা নোটিসেই সংসদ মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
পরে শ্রীরামপুরের সাংসদ ক্ষমা চেয়ে নেন। তিনি বলেন, “আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি। মিস্টার সিন্ধিয়াকেও নয়। যদি কাউকে আঘাত করে থাকি, তবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।”
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পাল্টা জবাবে বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরি বলছেন। আমরা সংসদে আসি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে। কিন্তু আত্মসম্মানের কোনও সমঝোতা নয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ করলে, তার জবাব পাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকুন…আমি এই ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ করলাম না।”
এদিকে, এই ঝামেলার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। অধিবেশনের পরে বিজেপির মহিলা সাংসদরা অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাসপেনশনের দাবি করেন।