African swine fever: মারা পড়বে কয়েক হাজার শূকর, ত্রিপুরাতেও থাবা বসাল ‘আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার’
African Swine Fever Outbrak in Tripura: পশু সম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান কে শশী কুমার জানান, ওই অঞ্চলের এক কিলোমিটারের মধ্যে যত শূকর আছে, তা মেরে ফেলা হবে।
আগরতলা: আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার (African Swine Fever) এ বার ছড়িয়ে পড়ল ত্রিপুরা(Tripura)-তেও। সম্প্রতিই উত্তর ত্রিপুৃরার কাঞ্চনপুর সাব ডিভিশন অঞ্চলে একাধিক শূকর (Pig) অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৮৭টি শূকরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায় তিনটি শূকরের নমুনায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ধরা পড়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ দিন সকালে পশু সম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রধান কে শশী কুমার জানান, ওই অঞ্চলের এক কিলোমিটারের মধ্যে যত শূকর আছে, তা মেরে ফেলা হবে এবং ১০ কিমি অঞ্চলের উপর কড়া নজরদারি রাখা হবে।
চলতি সপ্তাহের সোমবারই ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কাঞ্চনপুরে যে বিদেশী শূকর পালনের খামার রয়েছে, সেখান থেকেই এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ রুখতেই পশু আইনের অধীনে ওই খামারকে উৎপত্তিস্থল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণত শূকর থেকে মানবদেহে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে শূকরদের মধ্যে এটি অতি সংক্রামক ও প্রাণঘাতীও।
এত সংখ্যক শূকর মারার নির্দেশ দেওয়ায় খামার মালিকরা বিপুল আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, এ কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের তরফে ২২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা অবধি ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। এরজন্য খামার মালিকদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছে প্রমাণ সহ বিশেষ আবেদন জানাতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সংক্রমিত রোগের ক্ষেত্রে পশু হত্যা এবং তারপর দেহগুলিকে মাটির নীচে অনেকটা গভীরে চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Fire: বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলেন, তার আগেই গিলে খেল আগুন! আবাসনে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২
গতমাসেই মিজোরামে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ধরা পড়েছিল। পরে জানা যায়, মার্চ মাস থেকে বিগত ৫ মাসে ২৫ হাজারেরও বেশি শূকরের মৃত্যু হয়েছিল ওই সংক্রমণের কারণে। সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল আইজল। সেখানে প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি শূকর মারা পড়েছিল সংক্রমণের জেরে। রাজ্যের একটি বড় অংশের জনগণেরই জীবিকা পশুপালন হওয়ায়, বিগত কয়েক মাসে রাজ্যের প্রায় ১২১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।