Bengaluru: মহিলাকে ধর্ষণ উবের চালকের! ফোন ছিনিয়ে থানায় জমা দিলেন নির্যাতিতা

Bengaluru women harassment: ধস্তাধস্তির সময় কোনও মতে গাড়ির চালকের ফোন ছিনিয়ে নেন নির্যাতিতা মহিলা। থানায় গিয়ে সেই ফোন জমা দেন তিনি।

Bengaluru: মহিলাকে ধর্ষণ উবের চালকের! ফোন ছিনিয়ে থানায় জমা দিলেন নির্যাতিতা
ছবি- প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 2:27 PM

বেঙ্গালুরু: কিছুদিন আগেই মুম্বই ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশকে তোলপাড় করে দিয়েছিল। উসকে দিয়েছিল দিল্লির নির্ভয়া ধর্ষণের ছবি। তৎপর হয় প্রশাসন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কোথায় দেশের নারী নিরাপত্তা ? রাতের বেলায় দেশের শহরগুলিতে আদৌ সুরক্ষিত মহিলারা? এইসব প্রশ্নের মধ্যেই ফের আবার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গেল দেশে। এবারের স্থান বেঙ্গালুরু।

গাড়ির মধ্যেই মহিলা যাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উবের চালকের বিরুদ্ধে। ভোর রাতে বন্ধুর বাড়ি থেকে ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

বেঙ্গালুরুর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরুগান জানান” নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী আমারা অভিযুক্ত ক্যাব চালককে গ্রেফতার করেছি। তাকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। নির্যাতিতা মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ক্যাব চালকের বাড়ি অন্ধ্র প্রদেশে। বিগত দু’বছর ধরে সে বেঙ্গালুরুতে উবর চালাত সে। অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাড়ি ঝাড়খন্ডে। কয়েক বছর ধরে কাজের সূত্রে বেঙ্গালুরু থাকেন তিনি। বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। জীবন বিমা নগর থানায় ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। তাঁর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, এইচএসআর লেআউট থেকে মরুগেশ পাল্যা ফেরার জন্য ক্যাব বুক করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই গাড়ির দরজা বন্ধ করে দেন ক্যাব চালক। এরপরই অত্যাচার চালায় সে। পরে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় তাঁকে। ধস্তাধস্তির সময় কোনও মতে গাড়ির চালকের ফোন ছিনিয়ে নেন নির্যাতিতা মহিলা। থানায় গিয়ে সেই ফোন জমা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের এই ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা একদিকে যেমন নির্ভয়া-কাণ্ডের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গণেশ পুজোর ঠিক আগের রাতে ৩ টে নাগাদ। পুলিশ জানায়, ৩ টে থেকে সাড়ে ৩ টের মধ্যে পুলিশকে কেউ বা কারা খবর দেয় যে একটি টেম্পোর ভিতর এক মহিলা ও এক ব্যক্তির মধ্যে তীব্র বচসা চলছে। এ কথা শুনেই সন্দেহ হয় পুলিশের। মুম্বইয়ের সাকি নাকা এলাকায় পৌঁছে পুলিশ দেখে টেম্পোর ভিতরটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোহন চৌহান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলেই সন্দেহ পুলিশের। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। মুম্বইয়ের রাজওয়াড়ি হাসপাতালে নির্যাতিতাকে ভর্তি করেছিল পুলিশ। চিকিৎসা শুরু হলেও ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ক্রমেই খারাপ হতে শুরু করে শারীরিক অবস্থা। সারা শরীরে ক্ষত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি। প্রাণ হারান মহিলা।

আরও পড়ুন: Mumbai Rape: শরীর জুড়ে দগদগে ক্ষত, ভেন্টিলেটরে ৩৩ ঘণ্টার লড়াই শেষ মুম্বইয়ের নির্ভয়ার