Amit Shah on PM Modi: ‘স্বাধীনতার পর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশাসক তিনিই’, নমোর সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি শোনালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
PM Modi as Administrator: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে মনমোহন সিং যখন সরকার সামলাচ্ছিলেন, সেই সময়ে সর্বত্র এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিলেন, এদিকে আসল প্রধানমন্ত্রীকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গণ্য করতেন না।
নয়া দিল্লি: দারিদ্র দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জাতীয় নিরাপত্তা ও বিদেশনীতিতে দেশ অন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র শাসনকালে, বুধবার এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বাধীনতার পর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশাসক হিসাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
প্রশাসক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যক্রমের দু’দশক পূর্তিতে তাঁর কাজের পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, “দুই দশক আগে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তখন প্রশাসক হিসাবে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলেও নিজের দক্ষতায় তিনি সফল প্রশাসক হিসাবে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে মনমোহন সিং (Manmohan Singh) যখন সরকার সামলাচ্ছিলেন, সেই সময়ে সর্বত্র এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিলেন, এদিকে আসল প্রধানমন্ত্রীকেই কেউ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে গণ্য করতেন না। সেই সময় কোনও জাতীয় নিরাপত্তা ছিল না, ভারতকে নিজের গর্ব খোয়াতে হয়েছিল। ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে আসার পর সকলেই মনে করেছিলেন যে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কিন্তু মোদীজী ক্ষমতায় আসতেই সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করেছিলেন যে, এবার দেশের উন্নতি হবে, দেশের পরিকাঠামোয় বদল আসবে।
তিনি বলেন, “ভারতের সমস্যা কেবল প্রশাসনিক বা অর্থনাতিক উন্নয়নের মধ্য়ে সীমাবদ্ধ নয়, দেশের সম্মান রক্ষা করাও প্রয়োজন এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও প্রয়োজন। এই কাজ একমাত্র একজন জনপ্রিয় নেতাই করতে পারেন। দেশের গরিব মানুষদের কষ্ট উপলব্ধি করা, দরিদ্রের থেকে দরিদ্র মানুষ যাতে উন্নয়নের সুফল পান, এমন উপলব্ধি যার রয়েছে, একমাত্র সেই নেতাই যোগ্য শাসক হয়ে উঠতে পারেন।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন ও দারিদ্র দূরীকরণও প্রয়োজন। দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, উন্নয়ন, দেশবাসীর শিক্ষার ব্যবস্থা এবং আমাদের সংস্কৃতিতে আরও উজ্জ্বল করে তোলাও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। যখন এই সবকটি শর্তই পূরণ হয়, কেবল তখনই একজন সফল প্রশাসক হয়ে উঠতে পারেন।”
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, “নরেন্দ্র মোদী নিজেকে প্রধান সেবক বলে মনে করলেও আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে যতজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তারমধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রশাসক উনিই। কারণ তিনি এই সমস্ত শর্তগুলিই পূরণ করেছেন এবং সাফল্যের নিরিখে দেশকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।”
বিগত সাত বছরে মোদী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “যখন ২০১৬ সালে নোটবন্দি ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন সকলেই জানত যে সামনেই উত্তর প্রদেশ নির্বাচন রয়েছে, ফলে বড় ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন এবং ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। কারণ তারা বুঝেছিলেন যে দেশের কালা ধন উদ্ধারের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অন্য কোনও স্বার্থ ছিল না।”
এছাড়াও তিন তালাক প্রথা নিষিদ্ধ করা, এক পদ এক পেনশন এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের মতো পদ তৈরি করা যথেষ্ট কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। জঙ্গি দমনে সার্জিকাল ও এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েও ভারতের তরফে গোটা বিশ্বকে এক বার্তা দেওয়া হয়েছে যে দেশের সীমান্তের সঙ্গে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারেন না, এমনটাই বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।