হিন্দু ও শিখদের দুর্দশাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ: হরদীপ সিং পুরী

সিএএ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সাম্প্রতিক ঘটনা এবং যেভাবে শিখ ও হিন্দুদের ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা কেন ছিল।"

হিন্দু ও শিখদের দুর্দশাই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ: হরদীপ সিং পুরী
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2021 | 8:03 PM

নয়া দিল্লি: শুধু ভারতীয়দেরই নয়, বায়ুসেনার বিমানে করে রবিবার দেশে ফেরানো হয়েছে ২৪ জন শিখ আফগানিস্তান ও দুই সেনেটরকেও। ব্যবস্থা করা হয়েছে তাদের পোলিও টিকাকরণেরও। প্রতিবেশী দেশের বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখেই ফের নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। তিনি বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে যা ঘটছে এবং শিখ ও হিন্দুদের যে ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কেন প্রয়োজন ছিল।”

এ দিন সকালেই ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে দেশে ফিরেছেন ১৬৮ জন। এরমধ্যে ২৪ জন শিখ আফগানও ছিলেন। ভারত সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, আফগানিস্তানে আটকে থাকা হিন্দু ও শিখদের যথাসাধ্য সাহায্য করবে সরকার। এ দিন আফগান নাগরিক সহ ১৬৮ জনকে নিয়ে বায়ুসেনার বিমান দেশে ফেরার পরই প্রাক্তন অসামরিক উড়ানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, “কেবল নিজেদের দেশের নাগরিকই নয়, একইসঙ্গে সংখ্য়ালঘু শিখ ও হিন্দুরা, যারা ভারতে আসতে চান, তাদেরও আশ্রয় দিতে হবে। আফগান ভাই-বোনেরা, যারা ভারতের সাহায্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, তাদের সর্বসম্মতভাবে সাহায্য করতে হবে।”

এরইসঙ্গে তিনি সিএএ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলিতে সাম্প্রতিক ঘটনা এবং যেভাবে শিখ ও হিন্দুদের ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে, তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা কেন ছিল।”

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাশ করা এই আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মতো দেশগুলি থেকে  ২০১৫ সালের আগে পালিয়ে আসা অ-মুসলিম নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। অসমে এই আইন প্রয়োগ করা হলেও গোটা দেশজুড়ে এই আইন কার্যকর করাই এনআরসি ও সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে দিল্লির শাহিনবাগ। দেশজুড়ে প্রায় তিন মাস ধরে চলা এই আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়।

২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি এই আইন লাগু হলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি। চলতি বাদল অধিবেশনেও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই রাজ্যসভায় জানান, নাগরিকত্ব আইনে বদল বা সংশোধনের জন্য কোনও প্রস্তাব গ্রহণ বা পর্যালোচনা করা হচ্ছে না।  আরও পড়ুন: চারিদিকে কেবল কান্নার শব্দ, খাদের ধারে উল্টে পড়ে রয়েছে বাস-ট্রাক! রেষারেষিতে আহত ৩৫