Haryana Vaccine Mandate: জোড়া ডোজ় না থাকলে ব্যাঙ্ক, বাজার সহ সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ, হরিয়ানায় জারি নতুন নিয়ম

Night Curfew in Haryana: শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী করোনা পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

Haryana Vaccine Mandate: জোড়া ডোজ় না থাকলে ব্যাঙ্ক, বাজার সহ সর্বজনীন স্থানে প্রবেশ নিষিদ্ধ, হরিয়ানায় জারি নতুন নিয়ম
ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 8:15 PM

চণ্ডীগঢ় : মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশের পর এবার হরিয়ানা। ওমিক্রন থাবা বসাতেই ফের নৈশকালীন কারফিউয়ের পথে ফিরছে একের পর এক রাজ্য। হরিয়ানা তাতে তৃতীয় সংযোজন। শুক্রবার রাত থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে ওমিক্রনের কড়াকড়ি। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত রাত ১১ টা থেকে ভোট ৫ টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোনো যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর শুক্রবার আরও জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে মল, রেস্তরাঁ, ব্যাঙ্ক, সবজি মান্ডি, খাদ্য শস্যের বাজার এবং অফিসগুলিতে প্রবেশের জন্য অবশ্যই লাগবে জোড়া টিকার শংসাপত্র। একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে একসঙ্গে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী করোনা পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

হরিয়ানা বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন দু’দিন আগে সর্বজনীন স্থানগুলির প্রবেশের জন্য ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করার নিয়মের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ বলেছিলেন যে এই ব্যবস্থাটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কের মধ্যে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরদার করবে। তিনি ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার উপরেও জোর দেন। মুখ্যমন্ত্রী করোনা টিকাকরণের উপর আরও জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন এবং আমজনতাকে অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যাতে টিকার উভয় ডোজ দ্রুত নিয়ে নেন। একইসঙ্গে হরিয়ানা স্বাস্থ্য দফতরকেও কোভিড মামলা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

মনোহর লাল খট্টর আরও উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বরের ওই নির্দেশের পরে এক লাখেরও বেশি লোক তাদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। দুটি ডোজ় থাকা কোনও সর্বজনীন জায়গায় প্রবেশ করা জন্য বাধ্যতামূলক। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৩০-৩২ হাজার রোগীর কোভিডের জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং যাঁদের পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে। উল্লেখ্য আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত চৌটালা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ, মুখ্য সচিব সঞ্জীব কৌশল, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ডিএস ধেসি এবং অন্যান্যরা।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ১১৪ জন এখনও অবধি ওমিক্রনকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মূলত ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে এখনও অবধি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ৮৮ জন এ রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ৬৭ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানীতে। তেলেঙ্গানায় এই সংখ্যাটা ৩৮। তামিলনাডুতে ৩৪। কর্নাটকে ৩১ জন আক্রান্ত, গুজরাটে ৩০ জন। কেরলে ২৭, রাজস্থানে ২২। এছাড়াও হরিয়ানা ও ওড়িশায় ৪ জন করে ওমিক্রনের শিকার হয়েছেন। জম্ম কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা ৩। এরপরই রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ। ২ জন করে ওমিক্রন আক্রান্ত হন এই দুই রাজ্যে। পাশাপাশি চণ্ডীগঢ়, উত্তরাখণ্ড, লাদাখে ১ জন করে ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

আরও পড়ুন :  Terrorist Activities in Kashmir Valley: আট মাসে নিকেশ ২৪ পাকিস্তানি জঙ্গি, সন্ত্রাসে মদত কবে বন্ধ করবে ইসলামাবাদ?