UP Physical Assault: ওদের স্রেফ ‘বন্ধু’ই ভেবেছিল সবাই, মেয়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল সেই পাশের বাড়ির কিশোরই
UP Physical Assault: ধর্ষণের কথা বাড়িতে জানাজানি হতেই নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক হলেই যেন ওই কিশোর-কিশোরীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা মানতে অস্বীকার করে ওই কিশোর।
লখনউ: পাশাপাশি বাড়ি, মাঝেমধ্যে কথাও হত একে অপরের সঙ্গে। ওই প্রতিবেশী কিশোরই যে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা কল্পনাও করতে পারেনি বাড়ির লোকজন। রাতের অন্ধকারে জোর করে ১৫ বছর কিশোরীকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশী কিশোর। বাড়ির কিছুটা দূরেই একটা ঝোপে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত কিশোর। মুখ খুলতেও বারণ করেছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই পরিবারের সদস্যদের গোটা ঘটনা জানিয়েছিল কিশোরী। রাতারাতি গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক হলেই যেন ওই কিশোর-কিশোরীর বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা মানতে অস্বীকার করে ওই কিশোর। দুঃখ-অপমানেই আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের রামপুরে। শনিবারই পুলিশ অভিযুক্ত ওই কিশোরকে আটক করে।
গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, অভিযুক্তের সঙ্গে যেন তাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত কিশোরের পরিবারের তরফে জানানো হয় যে নির্যাতিতা নাবালিকা। তাই এখন বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর সেদিন রাতেই আত্মহত্যা করে নেয় কিশোরী। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত কিশোর বিয়ে করতে অস্বীকার করায় নাবালিকা আত্মহত্যা করেছে।
নির্যাতিতার ভাই জানান, অভিযুক্তের পরিবার নিজেরাই যোগাযোগ করে এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বারণ করে। পরে পঞ্চায়েত সভা ডাকা হয়। সেখানে পরামর্শ দেওয়া হয় যে, দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে বিয়ে দিতে দেওয়া হবে। কিন্তু অভিযুক্তের পরিবারই ওই প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে।