Sonia Gandhi: রাজ্যসভায় তোলা যাবে না সনিয়ার কথা, সীতারমনের বক্তব্য বাদ দিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু

Sonia Gandhi: রাজ্যসভায় নাম নেওয়া যাবে না কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য রাজ্যসভার কার্যক্রম থেকে বাদ দিলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।

Sonia Gandhi: রাজ্যসভায় তোলা যাবে না সনিয়ার কথা, সীতারমনের বক্তব্য বাদ দিলেন বেঙ্কাইয়া নাইডু
সনিয়ার ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তুলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 5:48 PM

নয়া দিল্লি: গত ২৮ জুলাই রাজ্যসভায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর নাম নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অধীররঞ্জন চৌধুরীর “রাষ্ট্রপত্নী” মন্তব্যের জন্য তিনি কং সভানেত্রীর ক্ষমা প্রার্থনার দাবি করেছিলেন। সোমবার (১ অগস্ট) রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, রাজ্যসভার কার্যক্রম থেকে সনিয়া গান্ধীকে নিয়ে করা সেই মন্তব্যগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে একটি সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, “প্রেস গ্যালারির সদস্যরা জানেন, চেয়ার রাজ্যসভার কার্যক্রম থেকে ২৮-০৭-২০২২-এ সকাল ১১টা বেজে ৫ মিনিট সময়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।”

রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের চেম্বারে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে পরই এই নির্দেশ দেন বেঙ্কাইয়া নাইডু। সূত্রের খবর, বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খর্গে এবং কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ এবং সংসদীয় বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এবং সংসদের নেতা পীযূষ গয়াল। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খর্গে বলেন, যেহেতু সনিয়া গান্ধী অন্য কক্ষের সদস্য, তাই রাজ্যসভায় তাঁর কোনও উল্লেখ করা যায় না। চেয়ারম্যানও শেষ পর্যন্ত বিরোধী দলনেতার যুক্তির সঙ্গে একমত হন।

সূত্রের খবর, বৈঠকে মল্লিকার্জুন খর্গে দাবি করেন, সনিয়া গান্ধী যেহতু রাজ্যসভার সদস্য নন, তাই রাজ্যসভার কার্যক্রম থেকে কংগ্রেস সভানেত্রীর নাম বাদ দিতে হবে। পীযূষ গোয়াল পাল্টা প্রশ্ন করেন, তাহলে বিরোধীরা কীভাবে প্রতিটি বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম নেয়? তিনিও রাজ্যসভার সদস্য নন, লোকসভার সদস্য। খর্গে জানান, নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই সংসদের যে কোনও কক্ষেই তাঁর নাম নেওয়া যেতে পারে। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর, বিরোধীদের যুক্তিই মেনে নেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। গত বৃহস্পতিবার নির্মলা সীতারামনের, সরাসরি সনিয়া গান্ধীর নাম নিয়ে যেসকল কথা বলেছিলেন, সেগুলি রাজ্যসভার কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই এই বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানিয়েছিলেন মল্লিকার্জুন খর্গে। এই বিষয়ে তিনি রাজ্যসভার অতীত কার্যক্রমের নজিরও দিয়েছিলেন।

গত সপ্তাহে অধীর চৌধুরীর “রাষ্ট্রপত্নী” মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ওই মন্তব্য করে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করেছেন অধীর, এই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে অধীর এবং সনিয়া গান্ধীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। এই নিয়ে সনিয়া গান্ধী ও স্মৃতি ইরানির সরাসরি সংঘাতও দেখেছিল লোকসভা। অধীর দাবি করেছিলেন, তিনি বাঙালি এবং হিন্দি ভাষায় যথেষ্ট সড়গড় নন। এই কারণেই তিনি ভুল করে ওই মন্তব্য করে ফেলেছিলেন। তাঁর ভুলের জন্য সনিয়া গান্ধীকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে ক্ষমা চান অধীর।