৩৬ ঘণ্টার ফারাকে দুটি ধর্ষণ, লজ্জায় মুখ ঢাকল মধ্য প্রদেশ

নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি উসকিয়ে ৪৫ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সামনে এল আরেক ধর্ষণের ঘটনা, যেখানে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে এক ব্যক্তি।

৩৬ ঘণ্টার ফারাকে দুটি ধর্ষণ, লজ্জায় মুখ ঢাকল মধ্য প্রদেশ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Jan 12, 2021 | 4:45 PM

ভোপাল: মাত্র ৩৬ ঘণ্টার ফারাকে দুটি ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষী থাকল মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh)। নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি উসকিয়ে ৪৫ বছরের এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই সামনে এল আরেক ধর্ষণের ঘটনা, যেখানে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে এক ব্যক্তি। প্রথম ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলেও দ্বিতীয় ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

নির্ভয়াকাণ্ডের স্মৃতি যেন পিছুই ছাড়তে চাইছে না দেশবাসীর। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের এক মধ্যবয়সী মহিলাকে গণধর্ষণ করে যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই এবার মধ্য প্রদেশেও একইভঙ্গিতে গণধর্ষণের শিকার হলেন বছর ৪৫-র এক মহিলা। ভোপাল থেকে ৮০০ কিমি দূরে অবস্থিত আমিলিয়া অঞ্চলে একটি চায়ের দোকান চালাতেন ওই মহিলা। শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে কুঁড়েঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তিনি, এমন সময়ে এক ব্য়ক্তি এসে জল চান। দরজা খুলতেই বেশ কয়েকজন তাঁর ঘরে ঢুকে পড়ে এবং ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার অভিযোগ, ধর্ষণের পর তাঁর শরীরে লোহার রড প্রবেশ করিয়ে নির্যাতন করে ধর্ষকরা।

স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে সঞ্জয় গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। রেওয়া অঞ্চলের ইন্সপেকটর জেনারেল উমেশ জোহা বলেন, ” বর্তমানে ওই মহিলা বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে সুস্থ হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্মুখীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাণ হারালেন স্ত্রী ও আপ্ত সহায়ক

অন্যদিকে, মধ্য প্রদেশেরই খান্ডওয়া জেলায় সোমবার ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করে মুদি দোকানের মালিক। জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণীর ছাত্রী ওই কিশোরী সোমবার সকালে স্থানীয় এক মুদি দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ওই মুদি দোকানের মালিক তাঁকে বাড়ির ভিতর টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং মুখ বন্ধ করতে গলা টিপে খুন করে। প্রমাণ লোপাট করতে সাহায্য করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রীও।

বাড়ির ছাদে দুজনে মিলে ওই কিশোরীর দেহ একটি ব্যাগে ভরার সময়ই এক প্রতিবেশীর নজরে বিষয়টি ধরা পড়ে। নির্যাতিতা ওই কিশোরীর মা-বাবা ওই বাড়ির ছাদ থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিসে খবর দেওয়ার আগেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এখনও তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।

আরও পড়ুন: কেন কমিটি? ‘নিমরাজি’ কৃষকদের গুরুত্ব বোঝাল সুপ্রিম কোর্ট