Extra Marital Affair: রয়েছে অবৈধ প্রেমিক, স্বামীর সঙ্গে যা করলেন দুই সন্তানের মা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার গল্প ফেঁদেছিলেন স্ত্রী।

Extra Marital Affair: রয়েছে অবৈধ প্রেমিক, স্বামীর সঙ্গে যা করলেন দুই সন্তানের মা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 12, 2022 | 7:00 AM

লুধিয়ানা: প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ওই মহিলা দুই সন্তানের মা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামীকে খুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার গল্প ফেঁদেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু সেই গল্পে সন্দেহ হয় শাশুড়ির। তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও খুনের বিষয়টি উঠে আসে। এর পর পুলিশের জেরার মুখে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত স্ত্রী। তিনি জানান, প্রেমিকের সহায়তায় খুন করেছেন তিনি। কী ভাবে খুন করেছেন, সে কথাও জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি খুনের ঘটনা ঘটেছে পঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলায়।

স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের হাতে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ সিং। ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তি লুধিয়ানার ঝোরদান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি গুরুদ্বারের পুরোহিত ছিলেন। ইন্দ্রজিৎকে খুনে অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কিরণদীপ কৌর। তাঁর প্রেমিকের নাম হরদীপ সিংহ। হরদীপ চুহানে গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

স্বামীকে খুন অভিযুক্ত কিরণদীপ জেরার সময় পুলিশকে জানিয়েছেন চায়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেই চা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এর পর তাঁর প্রেমিক গলায় ফাঁস দিয়ে ইন্দ্রজিতের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তাঁদের বাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও, খুনের সময় কিরণদীপ সিসিটিভি ক্যামেরার সুইচ বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মৃতের মা পুলিশকে জানিয়েছেন, আগের দিন রাতে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরতে রাত হয়েছিল ইন্দ্রজিতের। সকালে উঠে ইন্দ্রজিতের মা গিয়েছিলেন গুরুদ্বারে। সেখান থেকে ফিরে তিনি দেখেন তাঁর ছেলে পড়ে রয়েছেন মাটিতে। এবং বৌমা কিরণদীপ কাঁদছেন। ইন্দ্রজিতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ইন্দ্রজিৎকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ দেখে রাত ১১টা থেকে আড়াইটা অবধি বন্ধ রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তখন কিরণদীপকে  জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে পুলিশ। জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।