Sukanya Mondal: সুকন্যাও শুনলেন ‘গরু চোর’! পার্থকে জুতো ছোড়া শুভ্রার মতোই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আরতিও

Goruchor: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সয়ে যেতে হয় ক্ষমতাসীনের দুর্নীতি। জমে ক্ষোভ। যার থেকে তৈরি হয় হতাশা।

Sukanya Mondal: সুকন্যাও শুনলেন 'গরু চোর'! পার্থকে জুতো ছোড়া শুভ্রার মতোই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আরতিও
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 19, 2022 | 1:12 AM

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে এসে ‘গরুচোর’ কটাক্ষ ধেয়ে এল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার এক মহিলা সুকন্যাকে দেখে ‘গরুচোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। টেট পাশ না করেই চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুকন্যার বিরুদ্ধে। আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকারও অভিযোগ রয়েছে কেষ্টকন্যার বিরুদ্ধে। এর আগে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে এসে ‘গরুচোর’ শুনতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। হাসপাতালে উপস্থিত রোগীর আত্মীয়রা কেষ্টর উদ্দেশে ওই কথা বলেছিলেন। সুকন্যাকে গরুচোর বলা ওই মহিলার নাম আরতি মিত্র। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “চাকরিপ্রার্থীরা ন’মাস-ছ’মাস ধরে বসে থাকবে। তাঁদের কেউ ন্যায়বিচার দেবে না। এদের আবার নিরাপত্তা দিয়ে এত সম্মান দিয়ে নিয়ে আসছে। আদলত রয়েছে বলে আমরা বেঁচে রয়েছি। আমি ন্যায় চাই। গরুচোর বলেছি। গরুচোর, গরুচোর, গরুচোর।”

একই রকম ঘটনা ঘটেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। পার্থকে যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন তাঁর উদ্দেশে জুতো ছুড়েছিলেন এক মহিলা। আমতলার বাসিন্দা ওই মহিলার নাম শুভ্রা ঘড়ুই। পার্থের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দিন সেখানে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন তিনি। তখনই পার্থকে দেখে জুতো ছোড়েন তিনি। যদিও তাঁর ছোড়া জুতো পার্থের গায়ে লাগেনি। তা নিয়েও আক্ষেপ করেছিলেন ওই মহিলা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘জুতোটা ওঁর টাকে লাগলে শান্তি পেতাম।’’

রাজ্যের মন্ত্রী থেকে শাসকদলের হেভিওয়েট নেতা। বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তাঁদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হতে হয়েছে তাঁদের। এই সব ঘটনায় ক্ষোভের সঞ্চার করছে সাধারণ মানুষের মনে। ক্ষমতাশালী নেতা, মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সাধারণের টাকা লুঠের অভিযোগ সামনে আসছে। কিন্তু যাঁদের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসীন হন তাঁরা, সেই সব সাধারণ মানুষের কিছুই করার থাকে না। কিছু বলতে গেলেও শাসকের কোপ পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে মুখ বুজে সয়ে যেতে হয় ক্ষমতাসীনের দুর্নীতি। জমে ক্ষোভ। যার থেকে তৈরি হয় হতাশা। কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর সেই নেতা, মন্ত্রীদের দেখেই সাধারণ মানুষ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

এসএসকেএম হাসপাতালে অনুব্রতকে ‘গরুচোর’ বলা ব্যক্তিদের কথাতেও উঠেছিল বিষয়টি। তাঁরা জনিয়েছিলেন, গ্রামে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে চোরকে বেঁধে পেটানো হয়। এরা তো আরও বড় চোর। এদের সঙ্গেও সে রকমই করা উচিত।