Mamata Banerjee: মসজিদের পর গুরুদ্বারে মমতা, শিখদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা কৃষক আন্দোলন নিয়ে
Mamata Banerjee By-Election: বেরিয়ে মমতাকে বলতে শোনা যায়, 'এখানে এলেই মন শান্ত হয়ে যায়।'
কলকাতা: প্রথমে মসজিদ, এ বার গুরুদ্বারা। ভবানীপুরে উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) ১৫ দিন আগে থেকেই পুরোপুরো ভোট প্রচারের মুডে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার ভবানীপুরের একটি গুরুদ্বারেও হাজির হন তিনি। কার্যত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই জনসংযোগ পর্ব সারতে দেখা যায় মমতাকে। গুরুদ্বারের (Gurudwara) নিয়ম নেমে সেখানে প্রবেশ করে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি। কথা বলেই শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে। বেরিয়ে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘এখানে এলেই মন শান্ত হয়ে যায়।’
বুধবার নেত্রীর সঙ্গে গুরুদ্বারে যান দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়-সহ তৃণমূলের বাকি নেতা-নেত্রীরা। সূত্রের খবর, প্রসাদ হিসেবে এ দিন জিলিপি ও লাড্ডু পাঠান নেত্রী। হরিশ মুখার্জি রোডের একটি গুরুদ্বারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শিখ ধর্মাবলম্বিরা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এখানে পৌঁছে কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমর্থনের সুর চড়াতে শোনা যায় তাঁকে। এমনকি, কয়লাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে থাকা রুজিরা নারুলাও নিয়মিত গুরুদ্বারে যান, এমনও দাবি করেন মমতা।
West Bengal Chief Minister and TMC candidate from Bhabanipur (by-poll), Mamata Banerjee offers prayers at Gurudwara Sant Kutiya in Bhabanipur pic.twitter.com/vD08fixIoq
— ANI (@ANI) September 15, 2021
তবে ভবানীপুর যতই তাঁর চেনা মাঠ হোক, তিনি যে কিছুতেই প্রচার-প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ঢিলে দেবেন না, সেটা সাফ করে দিয়েছেন। গুরুদ্বারে পৌঁছে এ দিন মমতা বলেন, “আমি আজ এখানে শুভকামনা জানাতে এসেছি, আবার শুভকামনা পেতেও এসেছি। আগেও বহুবার আমি এখানে এসেছি। গুরু নানকজির অনুষ্ঠানেও গিয়েছিল।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার বহুদিনের সম্পর্ক। কবিগুরু যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন, তখন সেটা তিনি শুরুই করেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে। আন্দামানে দেখেছি, যত মানুষ দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যাই বেশি।”
আরও পড়ুন: WB Fever: দশ রকমের জ্বর কাঁপুনি ধরাচ্ছে বাংলায়, কী লক্ষণ, কী করবেন জেনে নিন
তবে মমতার প্রথমে মসজিদ ও পরে গুরুদ্বারা সফরের নেপথ্যে রাজনৈতিক অঙ্কই দেখছেন বিরোধীরা। যেহেতু ভবানীপুর এমন একটি কেন্দ্র যেখানে হিন্দির পাশাপাশি পঞ্জাবি ও গুজরাটি ভাষাভাষী ভোটার প্রচুর, সেই সঙ্গে ৭৭-সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোটের আধিক্যও রয়েছে, সেই কারণে পরপর দু’টি ধর্মীয় স্থানে মমতার আগমন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি এই সফর দুই ভিন্ন সম্প্রদায়কেও একপ্রকার প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ঢেউয়ে প্রস্তুত শুধুই কি মুখের কথা? বেআব্রু হয়ে পড়ল ‘অজানা জ্বরেই’