Calcutta High Court: ‘কীভাবে একজন মহিলাকে রাত ২টোর সময়ে…’, কী করেছিল পুলিশ? বিচারপতিকে সবটা জানাল রাজ্য
Calcutta High Court: রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, "আঘাত অনেক গুরুতর বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু ওষুধ দেখুন। দুটি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই সাধারণ ব্যথা প্রশমন করার ওষুধ এবং এন্টাসিড দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়ার কোনও উল্লেখ মেডিকেল রিপোর্টে নেই।" রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, থানার ভেতর যে অত্যাচারের অভিযোগ করা হচ্ছে, তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেডিক্যাল রিপোর্টে নেই।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘট, আর সেখান থেকে আটক AIDSO নেত্রীদের মেদিনীপুর থানার লকআপে মারের অভিযোগ। AIDSO নেত্রী সুশ্রীতা সোরেনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “রাত দু’টোর সময় কীভাবে একজন মহিলাকে থানা থেকে চলে যেতে বললেন। আপনাদের কাছে এই প্রক্রিয়ার কোনও নথি রয়েছে ?”
বিচারপতিকে রাজ্য জানায়, “সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর তাদের ছাড়া হয়েছে।” তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আপনারা সন্ধ্যা ৭টা – ৮টার মধ্যে ছেড়ে দিতে পারতেন। রাত ২টো কোনও যুক্তিসঙ্গত সময় নয়।”
বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “অনেক সময় রাজনৈতিক বিক্ষোভের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রতিরোধমূলক আটক আমরা দেখতে পাই। কিন্তু যে সময় থানা থেকে ছাড়া হয়েছে, সেটা কোনও যুক্তিসঙ্গত সময় নয়।”
রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, “আঘাত অনেক গুরুতর বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু ওষুধ দেখুন। দুটি মেডিক্যাল কলেজ থেকেই সাধারণ ব্যথা প্রশমন করার ওষুধ এবং এন্টাসিড দেওয়া হয়েছে। পুড়ে যাওয়ার কোনও উল্লেখ মেডিকেল রিপোর্টে নেই।” রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, থানার ভেতর যে অত্যাচারের অভিযোগ করা হচ্ছে, তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ মেডিক্যাল রিপোর্টে নেই।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার আগেই AIDSO-র নিগৃহীত নেত্রীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁরা দুটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘুরলেও, তাঁদের কোনও ইনজুরি রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল না। রাজ্যও এই বিষয়টি এদিন আদালতের হাতিয়ার করে।
নিগৃহীতা চার নেত্রীর তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, লক আপে তাঁদের হাতে গরম মোম ফেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে সেই ক্ষত চিহ্নও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। রাজ্যের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করা হয়, গরম মোম হাতে ঢেলে দেওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, মেডিকেল রিপোর্টে তার কোনও প্রমাণ নেই।
যে পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সম্প্রদায়কে অসম্মান করার অভিযোগ আনা হচ্ছে তিনিও প্রায় সমগোত্রীয় একটি সম্প্রদায়ভুক্ত বলেও এদিন আদালতে জানায় রাজ্য।
রাজ্যের তরফে আদালতে এটাও বলা হয়, “যদি প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ এবং অনুসন্ধান ছাড়া এই ধরনের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাহলে এটাই নতুন প্রবণতা হয়ে দাঁড়াবে, কাউকে পুলিশ আটক করলেই সে থানা থেকে বেরিয়ে এসে অভিযোগ করবে যে আমাকে মারা হয়েছে।” রাজ্যের আরও সওয়াল করা বাকি রয়েছে। বিচারপতি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ১৯ মার্চ। সেদিন ফের সওয়াল করার সুযোগ পাবে রাজ্য।





