Aparna Sen on RG Kar Case: ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে যত নষ্টামির বীজ’, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অপর্ণা

Aparna Sen on RG Kar Case: এখানেই না থেমে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁদের ভূমিকা নিয়েও তুলেছেন গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। অপর্ণা বলছেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা কারা? তাঁদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে কিন্তু যত নষ্টামির বীজ লুকানো রয়েছে। এদের ঢোকা বন্ধ করা হোক।”

Aparna Sen on RG Kar Case: ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে যত নষ্টামির বীজ’, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অপর্ণা
অপর্ণা সেন
Follow Us:
| Updated on: Aug 13, 2024 | 6:06 PM

কলকাতা: দাবি উঠেছিল আগেই। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তেই পড়ল সিলমোহর। তিলোত্তমা খুন-ধর্ষণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবারই সিসিটিভি ফুটেজ-সহ সব তথ্য দিতে হবে সিবিআই আধিকারিকদের। দেওয়া হয়েছে নির্দেশ। পুলিশ-হাসপাতালের ভূমিকায় তীব্র অসন্তুষ্ট আদালত। রাজ্য কেন অধ্যক্ষের ইস্তফা নেয়নি? স্পষ্ট নয়, ইতিমধ্যেই সেই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এদিকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে শহরে বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। আন্দোলনকারীদের মাঝে দাঁড়িয়েই এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিলেন অপর্ণা সেন। কেন শুরুতেই তিলোত্তমার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে দাগানো হল সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

এদিন অপর্ণা বলেন, “সমস্ত নাগরিকদের দাবি, রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিন যাতে সমস্ত মেয়েরা সুরক্ষিত অবস্থায় কাজ করতে পারে। সিসিটিভি ক্যামেরা যথেষ্ট নেই কেন? তার দায় কে নেবে। সরকারকে এই দায় নিতে হবে। এটা আমাদের দাবি। কারণ সরকারি হাসপাতালেই এমনটা ঘটেছে। যে যে সরকারি জায়গায় মেয়েরা কাজ করছেন তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা যত দ্রুত সম্ভব করা হোক। অপরাধীকে খুঁজে বের করা হলে কঠিন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আমরা করছি।”

এখানেই না থেমে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁদের ভূমিকা নিয়েও তুলেছেন গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। অপর্ণা বলছেন, “সিভিক ভলান্টিয়াররা কারা? তাঁদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের মধ্যে কিন্তু যত নষ্টামির বীজ লুকানো রয়েছে। এদের ঢোকা বন্ধ করা হোক।” একই সঙ্গে তিনি মনে করছেন, পুলিশের জবাবদিহি করারও প্রয়োজন রয়েছে। “কেন নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তখনই এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ঘোষণা করল? কিসের ভিত্তিতে এই ঘোষণা? কেন মৃতার পরিবারকে ফোন করে জানানো হল সে আত্মহত্যা করেছে? কার নির্দেশে এমনটা করেছে?” তুলছেন প্রশ্ন। একইসঙ্গে পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্রুত ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বলছেন, “কেন পুলিশ তড়িতড়ি এত ব্যস্ত হয়ে উঠল ময়নাতদন্ত করার জন্য? কেন যে হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটেছে সেখানেই কেন ময়নাতদন্ত হল? এই সব প্রশ্নের জবাব আমাদের চাই। আমাদের দাবি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত হোক। আমি শুধু ছাত্রদের বলছি আমার কণ্ঠ তোমাদের কণ্ঠের সঙ্গে মেলালাম।”