Attacked On ED: দোষ ED-রই! সন্দেশখালির নজিরবিহীন ঘটনায় অন্য তত্ত্ব খাড়া করল তৃণমূল

Attacked On ED: সকাল থেকে খবরের শিরোনামে সরবেরিয়া। কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বাহিনীর পাশাপাশি খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও। একাধিক গাড়িতে বেপরোয়া ভাঙচুর চলেছে। এই খবর সম্প্রচারের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Attacked On ED:  দোষ ED-রই! সন্দেশখালির নজিরবিহীন ঘটনায় অন্য তত্ত্ব খাড়া করল তৃণমূল
সরবেরিয়ায় জনকার রোষImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2024 | 4:34 PM

কলকাতা: সন্দেশখালির সরবেরিয়া রেশন দুর্নীতির তদন্তে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে ইডি-কে। দুই ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটেছে লোহার রড ও ইটের আঘাতে। মার খেতে হয়েছে সিআরপিএফকে। কলা বাগান দিয়ে দৌড়ে পালাতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আর দৌড়ে হাইওয়ের ওপর থেকে বাইক-টোটো-অটোতে লিফট নিয়ে কোনওভাবে প্রাণে বেঁচেছেন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রাম সরবেরিয়ার হাজার হাজার গ্রামবাসী, দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহানের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এ হেন অবস্থায় কার্যত নজিরবিহীনই বটে! সেই পরিস্থিতিতে এই গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে শাসকদল তৃণমূলের বক্তব্য, এর পিছনে রয়েছে প্ররোচনা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক ও জওয়ানদের প্ররোচনাতেই নাকি এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সকাল থেকে খবরের শিরোনামে সরবেরিয়া। কেন্দ্রীয় এজেন্সি, বাহিনীর পাশাপাশি খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে সংবাদমাধ্যমকেও। একাধিক গাড়িতে বেপরোয়া ভাঙচুর চলেছে। এই খবর সম্প্রচারের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই নিজের সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ” অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। উদ্বেগেরও বটে। তবে এর পিছনে রয়েছে প্ররোচনা।” আর এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, “লাগাতার, ধারাবাহিকভাবে, কার্যত রোজ, শুধুমাত্র তৃণমূলকে বেইজ্জত করবে বলে বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী তল্লাশির নামে গ্রামে ঢুকে প্ররোচনা দিচ্ছে। যেখানে বিজেপি আমাদের সংগঠনের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না, সেই জায়গাগুলোতে বেছে বেছে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানকার মানুষকে প্ররোচনা দিচ্ছে।”

দলের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি গিয়েই এতো কাণ্ড। সেই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কুণাল ঘোষের পরামর্শ, “কোনও অবস্থায় কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। দলের নেতৃত্ব গোটা জিনিসটা দেখছে। তারা যথাযথ সময়ে যা যা করার করবে।”

ইতিমধ্যেই এই  ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতারাও এহেন নজিরবিহীন ঘটনার নেপথ্যে রোহিঙ্গা-যোগ দেখছেন।