AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: হাবভাব, স্বরের বদল হলেই ধরবেন সাইকো অ্যানালিস্টরা, বগটুই কাণ্ডে আরও শক্ত সিবিআই

Rampurhat Murder: অভিযুক্ত, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষীরা কোনও তথ্য গোপন করছে কি না তা জানার জন্যই এই ফরেন্সিক সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

Bagtui Massacre: হাবভাব, স্বরের বদল হলেই ধরবেন সাইকো অ্যানালিস্টরা, বগটুই কাণ্ডে আরও শক্ত সিবিআই
সিবিআইকে সাহায্য করবে সাইকো অ্যানালিস্ট (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2022 | 2:30 PM
Share

কলকাতা: বগটুই কাণ্ডে ফরেন্সিক সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। অভিযুক্ত, প্রত্যক্ষদর্শী, অথবা সাক্ষীরা কোনও তথ্য গোপন করছে কি না তা জানার জন্যই এই ফরেন্সিক সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রামপুরহাট আদালতেও ফরেন্সিক সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নেওয়ার কথা জানিয়েছে সিবিআই।

কী কাজ সাইকো অ্যানালিস্টদের?

সূত্রের খবর, পূর্ব ভারতে এই প্রথম কোনও মামলায় সাইকো অ্যানালিস্টদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দু’জন সাইকো অ্যানালিস্ট উপস্থিত থাকছেন তদন্ত প্রক্রিয়ার সময়। দু’জনই মহিলা। তাঁরা দিল্লি থেকে এসেছেন। এই অ্যানালিস্টদের মূল কাজ হল, একদিকে জেরা, অন্যদিকে যে সব সাক্ষীরা বগটুই পৌঁছেছিলেন ঘটনার দিন, অর্থাৎ পুলিশ এবং দমকলের আধিকারিকরা, তাঁদের হাবভাব, কণ্ঠোস্বর ও মুখের ভঙ্গি অ্যানালিসিস্ট করবেন। এই তিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই অ্যানালিস্টরা বোঝার চেষ্টা করবেন অভিযুক্ত বা সাক্ষীরা কোনও সত্য গোপন করছেন কি না।

সিবিআই গোয়েন্দাদের মতে, কেউ যদি সত্য গোপন করেন, সঙ্গে-সঙ্গে এই অ্যানালিস্টরা বিষয়টি ধরতে পারবেন। পাশাপাশি তারা আদালতকেও জানাবে, যে জেরা প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্য গোপনের চেষ্টা করছে। সিবিআই আধিকারিকরা মনে করছেন যে, এই ঘটনার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত, দমকল আধিকারিকরা বা পুলিশ কর্মীরা সত্য আড়াল করতে পারেন। সেই কারণেই এই প্রথম এই ধরনের একটি পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হল। গোটা প্রক্রিয়াটি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি আদালতকেও জানানো হয়েছে বলে খবর।

বস্তুত, বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। সেদিন পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, সেই সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার রামপুরহাট থানার পুলিশকর্মীদের নিজেদের অস্থায়ী ক্যাম্পে ডেকে পাঠান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ইতিমধ্যেই আনারুল সহ ১০ জন অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। জেল হেফাজতে থাকা ১০ জনকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে ৯ জনের পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একজন নাবালক রয়েছে অভিযুক্তদের মধ্যে। তাঁর বয়সপ্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: অনুব্রতর ‘পছন্দের’ তালিকার প্রথমেই ‘নাপসন্দ’ আনারুলের নাম!