BJP Bengal: মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর বিজেপি, বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন সুকান্ত
BJP Bengal: বিদ্রোহী হয়েই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা : বিজেপির মতুয়া শিবিরে ভাঙন রুখতে তৎপর রাজ্য নেতৃত্ব। এক দিকে যখন মঙ্গলবার বিজেপির মতুয়া প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তার আগেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন মজুমদারের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। স্বপন মজুমদার জানিয়েছেন তিনি, আজ শান্তনু ঠাকুরের বৈঠকে যাচ্ছেন না। একই সঙ্গে তাঁর দাবি কয়েক জন বাদে বেশির ভাগ বিধায়কই শান্তনুর সঙ্গে নেই।
দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত নয়, সেই ক্ষোভেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী তিনি। এর পাশাপাশি বনগাঁর জেলা সভাপতি নিয়োগের বিষয়েও ক্ষোভ রয়েছে সাংসদের। যদিও কেন তিনি গ্রুপ ত্যাগ করেছেন তা নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংসদ বলেন, “কেন গ্রুপ ছেড়েছি, সময় মতো জানাব।” স্বাভাবিকভাবেই সাংসদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনায় আরও অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
এরই মধ্যে বিজেপিতে থাকা মতুয়াদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে ডেকেছেন তিনি। মঙ্গলবারই সেই বৈঠক রয়েছে বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে। সূত্রের খবর, মতুয়া প্রতিনিধিত্ব নিয়ে ওই বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলতে চান তিনি। কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে দেখা গেল স্বপন মজুমদারকে। মতুয়া প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও শান্তনুর সঙ্গে নেই বলেই জানালেন তিনি।
এ দিন বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমাকে বৈঠকে ডাকা হয়নি। তিনি আরও জানান, রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার ৪-৫ দিন পর এই প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে, কেন ৪-৫ দিন কেউ কিছু বলল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিধায়ক আরও দাবি করেন, রাজ্য কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মতুয়া সদস্যদের নাম পাঠানো দরকার ছিল। নাম পাঠানো হয়নি, আর সেই বিষয়ে কোনও চর্চাও হয়নি।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে জানা যায়, বিজেপির বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। রাজ্য নেতাদের হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ, বাংলার বিজেপি সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ সহ বেশ কিছু গ্রুপ থেকে তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন শান্তনু ঠাকুর। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরই তিনি এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এটা আমাদের আভ্যন্তরীন বিষয়। আমরা মিটিয়ে নেব। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, আজ যারা গ্রুপ ছেড়েছে, কাল তারা বিজেপি ছাড়বে। আজ বিজেপি বাংলায় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। কাল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : Covid Third Wave: ‘আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি’, বললেন বাংলার চিকিৎসকেরা, আতঙ্ক কতটা?