Rajiva Sinha: রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে রুল জারি, এরপর? বিশ্লেষণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি
Panchayat Election: কোনও সাংবিধানিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতের রুল জারির ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। যদিও এই ধরনের পদক্ষেপ একেবারে নজিরবিহীন নয় বলেই মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি।
কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পঞ্চায়েত মামলায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ২৪ নভেম্বর তাঁকে আদালতে হাজিরা দিয়ে উত্তর দিতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) একটি সাংবিধানিক পদ। এমন কোনও সাংবিধানিক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতের রুল জারির ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। যদিও এই ধরনের পদক্ষেপ একেবারে নজিরবিহীন নয় বলেই মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানাচ্ছেন তিনি। অতীতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনের বিরুদ্ধেও কলকাতা হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা, “এটি একটি আইনি পদক্ষেপ। আইনি ব্যবস্থার এটি একটি অপরিহার্য অঙ্গ। রুলের জবাব দিতে হবে রাজীব সিনহাকে। তারপর আদালত বিচার করে দেখবে সেটি কতটা যুক্তিসঙ্গত।”
রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে রুল জারি হওয়ার ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি বলছেন, “কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি এসেছে, সেগুলি আপাতগ্রাহ্য বলে মনে করছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এটা হঠাৎ করে জারি করা হয়নি। দু’পক্ষের কথা শুনে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করে এই রুল জারি করা হয়েছে।”
যদিও রুল জারি হওয়া মানেই রায় এসে যাওয়া, এমন সবক্ষেত্রে হয় না বলেই মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তাঁর ব্যাখ্যা, “মামলার শুনানি এখনও বাকি আছে। নভেম্বরে রাজীব সিনহাকে সশরীরে হাজির হয়ে এই রুলের জবাব দিতে হবে। রাজীব সিনহার আইনজীবী বলবেন, অপরপক্ষের আইনজীবীও বলবেন। সব শুনে বিচারপতি শেষ পর্যন্ত কী করেন, সেই দিকেই আমরা সাগ্রহে তাকিয়ে থাকব।”
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি আরও বলছেন, “যদি আদালত জবাবে সন্তুষ্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কোর্ট মনে করলে আদালত অবমাননার প্রথা অনুযায়ী যথাযুক্ত শাস্তিও দিতে পারে। কিন্তু এটা আগে থেকে কিছু বলা যায় না।” তবে আদালত যদি পরবর্তীকে কোনও কড়া পদক্ষেপ করে, তাহলে বিষয়টি রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।