Hanskhali Case: হাঁসখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি, রায়দান স্থগিত হাইকোর্টে
Calcutta High Court: হাঁসখালির ঘটনার শুনানি শেষ। রায় দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। হাঁসখালির ঘটনার মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায়। আদালতে তিনি জানান, নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রাজ্য।
কলকাতা : হাঁসখালির (Hanskhali Molestation Case) ঘটনার শুনানি শেষ। রায় দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাঁসখালির ঘটনার মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায়। আদালতে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ঘটনা দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রাজ্য। ঘটনায় রাজ্য নিরপেক্ষ তদন্ত করছে বলেও আদালতে জানান তিনি। অন্যদিকে মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার মৃত্যু শংসাপত্র ছাড়াই দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। ময়না তদন্তের কোনও রিপোর্ট ছিল না। কোনও মেডিকেল পরীক্ষা হয়নি। পুলিশকে জানানো হয়নি।
এর পাশাপাশি আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, “ঘটনায় দেরিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় স্থানীয় থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের বয়ান আবার রেকর্ড করা হোক ১৬৪ ধারা অনুযায়ী এবং সেটাই ভিডিওগ্রাফি করা হোক। আমাদের মা, বোনেদের আস্থা ফেরাতে রাজ্য পুলিশের তদন্ত বন্ধ হোক।” এর পাশাপাশি ঘটনার পুননির্মাণ এবং লুমিনল স্পেশাল পরীক্ষা করানোর দাবিও করেন তিনি। এই লুমিনল স্পেশাল পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তক্ষরণ কীভাবে তা বোঝা যাবে।
আদালত আরও কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেন মামলাকারীর আইনজীবী। নির্যাতিতার জামাকাপড় সংগ্রহ করা হয়েছে কি না? অভিযুক্তের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না, এই সব প্রশ্ন উঠে আসে আদালতে। নির্যাতিতার আইনজীবীর দাবি, এই সব ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য দেওয়া হোক। আইনজীবী সংশয় প্রকাশ করেন, এত দিনেও না হলে সেগুলি কেচে ফেলা হয়েছে। নতুন ডিএনএ পদ্ধতিতে জামাকাপড় কাচার পরেও দাগ উদ্ধার করা সম্ভব। এর পাশাপাশি যে বাইক ও সাইকেল ব্যবহার হয়েছিল সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না সেই প্রশ্নও ওঠে আদালতে।
এর পাশাপাশি, হাঁসখালির ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন আদালতের কাছে তুলে ধরেন মামলাকারীর আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। নির্যাতিতার মা বলেছেন এটা গণধর্ষণ। তাই ঘটনাটির তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক, দাবি তোলেন আইনজীবী। এর পাশাপাশি তিনি আরও প্রশ্ন করেন, কীভাবে দেহ পোড়ানো হল মৃত্যু শংসাপত্র ছাড়া? ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে এফআইআর না নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছিল।