Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির ধরনায় ‘না’ পুলিশের, হাইকোর্টে সুকান্তরা

Calcutta High Court: সুকান্তদের অভিযোগ রাজ্যে বর্তমানে পরীক্ষা চলছে, এই যুক্তিতে পুলিশ ধরনায় অনুমতি দেয়নি। এমন অবস্থায় তাঁরা এবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিজেপির বক্তব্য, ওই একই জায়গায় সম্প্রতি যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছিলেন, তখন তাতে আপত্তি ছিল না পুলিশের। আজ সুকান্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় বিজেপির ধরনায় 'না' পুলিশের, হাইকোর্টে সুকান্তরা
সুকান্ত মজুমদারImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 26, 2024 | 4:31 PM

কলকাতা: সন্দেশখালির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার পক্ষকে নাগাড়ে বিঁধে চলেছে বিজেপি। এবার সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদের সুর কলকাতার বুকে আরও জোরদার করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই কারণে ময়দানে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে দু’দিনের ধরনা কর্মসূচি করতে চান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ অর্থাৎ, সোমবার থেকে দু’দিনের ধরনায় বসতে চেয়ে আবদেন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। পুলিশের তরফ থেকে কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশ ধরনায় আপত্তি জানানোয়, এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

জানা যাচ্ছে, সুকান্তদের অভিযোগ রাজ্যে বর্তমানে পরীক্ষা চলছে, এই যুক্তিতে পুলিশ ধরনায় অনুমতি দেয়নি। এমন অবস্থায় তাঁরা এবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। বিজেপির বক্তব্য, ওই একই জায়গায় সম্প্রতি যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসেছিলেন, তখন তাতে আপত্তি ছিল না পুলিশের। আজ সুকান্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল (মঙ্গলবার) এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। এখন দেখার আগামী দিনে এই মামলার শুনানি কোন দিকে মোড় নেয়।

উল্লেখ্য, বিগত দিনগুলিতে সন্দেশখালির ইস্যুতে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, বঙ্গ বিজেপির তাবড় রথী-মহারথীরা সরব হয়েছেন। শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি সন্দেশখালি থানার বাইরে অবস্থানে বসে পড়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে লঞ্চে তুলে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ, পরে পার্সোনাল বন্ডে জামিন দেয়। এরপর কলকাতায় ফিরেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে নালিশ করেছিলেন সুকান্তর নেতৃত্বে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল।