CM Mamata Banerjee: সীমান্তের পরিস্থিতি কেমন? নবান্নে উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
Nabanna: প্রশাসনিক সূত্রের খবর,সোমবার ডিআইজি এবং তার উচ্চস্তরের পদমর্যাদার অফিসারদের সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। সেই মোতাবেক সেখান থেকে তাঁরা কী রিপোর্ট পাঠিয়েছেন গতকাল তার পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: সোমবার বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরির পর থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি কোন দিকে যায় নজর রেখে চলেছে রাজ্য সরকারও। এবার বাংলাদেশ ইস্যুতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যসচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজিকে নিয়ে নবান্নে এক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর,সোমবার ডিআইজি এবং তার উচ্চস্তরের পদমর্যাদার অফিসারদের সীমান্তবর্তী এলাকার থানাগুলিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নবান্ন। সেই মোতাবেক সেখান থেকে তাঁরা কী রিপোর্ট পাঠিয়েছেন গতকাল তার পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত যেন সীমান্তবর্তী জেলাগুলির দিকে নজর রাখা হয় তাঁর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সীমান্তের দায়িত্বে পুরোপুরি বিএসএফ থাকলেও, বাংলার সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমানার জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে যাতে কোনও অশান্তি না দানা বাধতে পারে, তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে পুলিশকে। পাশাপাশি প্রতি মুহূর্তে সেইসব জেলাগুলি থেকে যাতে রিপোর্ট রাজ্য বা নবান্নের কাছে পৌঁছয় সে বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের সর্বদল বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, যাতে প্রতি মুহূর্তে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই যাতে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ করে। বাংলাদেশে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, ভৌগলিক সীমানার জন্য তার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ছে বা পড়তে চলেছে বাংলাতেই। এই নিয়ে বৈঠকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বস্তও করেন বলে খবর।
বস্তুত, গত সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করজোড়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে আপামর রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন করেছিলেন যাতে সাম্প্রদায়িকতামূলক পোস্ট না করা হয়। প্ররোচনায় পা না দেওয়ার পাশাপাশি শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যে যাতে কোনও ভাবে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেই দিকে তাই বিশেষ নজর প্রতিনিয়ত রেখে চলেছে নবান্ন।