Update Mamata Banerjee: ‘টাকার কথা কুৎসা, অপপ্রচার…’, বললেন মমতা

Mamata Banerjee: এদিন মমতা বলেন, "১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। আর সিবিআইকে বলব তাড়াতাড়ি বিচারের ব্যবস্থা করুন। এটা তো এখন আপনাদের হাতে আমাদের হাতে নেই।"

Update Mamata Banerjee: 'টাকার কথা কুৎসা, অপপ্রচার...', বললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র। Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 09, 2024 | 3:39 PM

কলকাতা: নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। আছেন বিভিন্ন দফতরের বিশেষ সচিব, সচিব পর্যায়ের আধিকারিকরা। ভার্চুয়ালি উপস্থিত রয়েছেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারও।

কী বললেন মমতা

  1. রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সেই কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষরাই থাকবেন। ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
  2. আজ যারা বড় বড় কথা বলছে তারা ৭০০ ডিপার্টমেন্টে ঘুঘুর বাসা ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই ঘুঘুর বাসা আমরা ভাঙতে পারিনি। কারণ আপনাদের বামফ্রন্টের লোক বসে আছে। আমি বদলা নয় বদল বলেছিলাম। তাই কারও চাকরিতে হাতও দিইনি। এটাকে দুর্বলতা ভাববেন না। মেডিক্যাল কোটায় চাকরি দিত। আলিমুদ্দিন থেকে তালিকা আসত। হাজারটা কাহিনী বলে দেব একদিন।
  3. তোমাদের কথায় পাত্তা দেয়নি। দেখে নাও যদি কথা বলতে চায়। আমাকে জানিও। বিনীতের সঙ্গে ওরা কথা বলতে গিয়েছে। বিনীত কথা বলেছে। আমাদের সরকার বাম সরকার না। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশনে ছিলাম, কেউ ওরা কথা বলেনি।
  4. এমনকী নার্সিংহোমগুলোও। চারটে নাম আমার কাছে আছে। পুলিশের একজন ওসি তোমার কাছে রোগী হিসাবে গিয়েছে। তুমি তাকে ভর্তি নাওনি। এদের কথা মনে রাখতে হবে। অনেকে এখানে কাজ করছে না, প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে কাজ করছে। এটা কি সত্যি? স্বাস্থ্যসচিব জানান, হচ্ছে। কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে।
  5. আজ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে। যদি ওনারা মনে করেন কথা বলে মেটাবেন, তাহলে ঠিক আছে। সিএমওএইচ, বিএমওএইচ হাসপাতালে নজর দিক। যেন কেউ চিকিৎসা না পেয়ে মারা না যান। মমতা বলেন, ২৩ জন মারা গিয়েছেন। অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে গিয়ে বাড়িতেও মারা গিয়েছেন। সেই কেসগুলো বুথ লেভেল থেকে খোঁজ নাও।
  6. স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ৭ লক্ষ মানুষ আউটডোরে পরিষেবা পাননি। ইন্ডোর অ্য়াডমিশন আমাদের প্রায় ৭০ হাজার রোগীকে দিতে পারিনি। ৭ হাজারের বেশি প্ল্যানড সার্জারি করা যায়নি। দেড় হাজারের বেশি মানুষকে কার্ডিওলজির ক্যাথ ল্যাবে পরিষেবা দিতে পারিনি। আমাদের বেশ কয়েকজন মারা গিয়েছেন।
  7. নীরবে বেদনা সহ্য করছি। পুলিশকে অ্যাকশন নিতে বারন করেছি। কিন্তু দয়া করে মানুষকে পরিষেবা দিন। আমি নারায়ণকে একটা রিপোর্ট দিতে বলব। উনি স্বাস্থ্যসচিব।
  8. বাংলার নামে বদনাম হচ্ছে। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হয়েছে। এখান থেকে পড়াশোনা করে, খেয়েদেয়ে মানুষ হয়ে বাইরে গিয়েছে। তারা গিয়ে বাংলার একতরফা কথা শুনে বদনাম করছে। বাংলাদেশের পরে এই সুযোগটা নিচ্ছেন তো? বাংলাদেশ অন্য রাষ্ট্র, ভারত আলাদা। মাথায় রাখতে ভুলে যাচ্ছেন। এখানে বাংলাদেশ হবে না।
  9. বাংলার নামে বদনাম হচ্ছে। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হয়েছে। এখান থেকে পড়াশোনা করে, খেয়েদেয়ে মানুষ হয়ে বাইরে গিয়েছে। তারা গিয়ে বাংলার একতরফা কথা শুনে বদনাম করছে।
  10. ১ মাস তো হয়ে গেল। আজ ৯ তারিখ। এক মাস এক দিন। ৩১-এ মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। আর সিবিআইকে বলব তাড়াতাড়ি বিচারের ব্যবস্থা করুন। এটা তো এখন আপনাদের হাতে আমাদের হাতে নেই। এখন সাজা পুরো সিবিআইয়ের হাতে। নির্যাতিতার পরিবারকে বিচার দিন। 
  11. পুলিশ সারারাত পাহারা দেয়। পুজো থেকে দুর্যোগ, সবক্ষেত্রে পাহারা দেয়। প্রতিদিন রাতে যদি আপনারা রাস্তায় থেকে… অনেক মানুষ তো বিড়ম্বনাতেও পরে। এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। মাইক লাগালে ঘুমের সমস্যা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের নিয়ম আছে ডেসিবেল নিয়ে। তারপরও আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি।
  12. কোর্ট সিবিআই নির্দেশ দেওয়ার পরই কাগজপত্র, ডিএনএ রিপোর্ট, ভিডিয়ো সব হস্তান্তর করেছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠি লিখল সিআইএসএফকে জায়গা দাও। ববিকে পাঠিয়ে ইন্দিরা হাসপাতাল, প্রাইমারি স্কুল দিলাম। তারপরও রোজ বলেন কমিউনিটি হলগুলো দিয়ে দাও। এলাকার লোকের কাজে লাগে এটা। সেগুলো কী হবে? আরজি করের পাশে জায়গা লাগলে বলুন। খাট পেতে দেবে, ওয়াশরুম করে দেবে। কনজেস্টেড এরিয়ায় ২ ঘণ্টার মধ্যে জায়গা চাইলে কী করে সম্ভব?
  13. কলকাতা পুলিশ কমিশনার নিজে এসেছে আমার কাছে পদত্য়াগ করার জন্য। গত সাতদিন আগে। এসেছে। সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডার তো যে থাকবে দায়িত্বে তাকে জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।
  14. আজকাল পুলিশের অনুমতি নেওয়া হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যবশত কেউ কেউ উপরতলা থেকে পারমিশন করে দিচ্ছে। পুলিশ দেখবে না ল’ অ্যান্ড অর্ডার? পুলিশ এদিন সামলেছে। মার খেয়েছে, নিজেদের রক্ত দিয়েছে। তবু কারও রক্ত নেয়নি। আমি প্রশংসা করি। পুলিশও আপনাদের সারাক্ষণ পাহারা দেয়। তারাও মানবিক। তাদের সংসার আছে, পরিবার আছে। যাকে পারছেন যা খুশি বলছেন। একবার ভাববেন না, আপনার পরিবারকে তুলে কেউ বললে কেমন লাগে?
  15. আমাদের পুলিশ মাটিগাড়ায় ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট করেছে। আমরা কামদুনিও ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট করেছে। হাইকোর্ট ২ জনকে বাদ দিয়ে লাইফ সেনটেন্স করে দিয়েছিল। এখন লাইফ সেনটেন্স হলে আবার কোর্ট থেকেই রেকমেনডেশন আসে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আজ একটা কেস এসেছিল, আমি বলেছি করতে পারব না।
  16. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে এই ধরনের ঘটনায় সহযোগিতা করার। আমি বাবা-মাকে অনরেকর্ড বলেছিলাম, দেখুন মৃত্যুর বিকল্প টাকা হয় না। আপনাদের মতো আমরাও মর্মাহত। তবু যদি কোনওদিন মনে করেন আপনার মেয়ের স্মৃতিতে কোনও ভাল কাজ করবেন, আমাদের বলবেন। আমাদের সরকার পাশে আছে। আর কিচ্ছু না। আমি জানি কোনটা কোথায় বলতে হয়। তারপরও যারা কুৎসা করে বেড়াচ্ছেন, আমি সরি! তারা বিচার চায় নাকি বিচারের নামে কেসটা ঝুলিয়ে দিতে চায়?
  17. আমি যেদিন যাই আগের দিন রেসিডেন্সিয়াল ডক্টর ফোরাম অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট করেছিল। ৩ নম্বর পয়েন্টে বলা ছিল, ‘অ্যাডিকোয়েট কমপেনসেশন ফর দ্য ফ্যামিলি অব দ্য ভিক্টিম’। মনোজ পন্থ পড়ে শোনালেন চিঠিতে কী লেখা আছে।
  18. আরজি কর প্রসঙ্গে বললেন মমতা। রবিবার ওদের কাজ ছিল। আমি ইচ্ছা করে সেদিন বিরক্ত করিনি। মুরলি গিয়েছিলেন রিপোর্ট দিতে বিকালে। পরে আমি গিয়েছিলাম। আমি ডিটেইল জানাই বাবা, মাকে। সিপিকেও নিয়ে যাই। কী কী অভিযোগ, সব সিপিকে রেকর্ড করতে বলি। অনেকে বলে বেড়াচ্ছে, আমি টাকার কথা বলেছি। মোটেই বলিনি। আমাকে প্রমাণ দেখাক কোথাও আমি টাকার কথা বলেছি। মিথ্যা কথা, কুৎসা, অপপ্রচার, চক্রান্ত। সেদিন সাংবাদিকরা ছিলেন। 
  19. ওড়িশাতে বার্ড ফ্লু হচ্ছে। আমরা তাই বর্ডার সিল করে দিতে বলেছি। রেল আমাদের হাতে নেই। তাও আমি মুখ্যসচিবকে বলব, রেলের সঙ্গে একটা বৈঠক করতে। পরে এই প্রকোপ কমে গেলে আবার আমরা খুলে দেব।
  20. পিএইচইকে বলব কাজ করতে গিয়ে রাস্তা খারাপ হলে সারিযে দিন। নাহলে আমি পরের ধাপের টাকা দেব না। আমি জমিও দেব না। টাকাও দেব না। জমি দিয়ে পাইপ নিয়ে যাচ্ছেন। তারপর সেই রাস্তা সারানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সংস্থার। গ্রামীণ রাস্তায় বড় ট্রাক ঢুকবে না।
  21. আরও কিছু পুজো কমিটি আবেদন করেছে। আমাদের প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। আগামিকাল থেকে টাকা দেওয়া শুরু হবে। কেউ যদি না নেয় তাহলে তাঁদের নিজেদের পুজো করার ক্ষমতা আছে। তাঁদের স্বাগত।
  22. মিড ডে মিলের দিকে নজর রাখবেন। যদি আপনারা না পারেন মুখ্যসচিব করবেন। দরকার পড়লে আমার সঙ্গে কথা বলে নেবেন।
  23. প্রত্যেক বছর ২-৩টি বৈঠক করি। কিন্তু নির্বাচনের কারণে সম্ভব হয়নি। বিপর্যযের কারণে ২৪ ঘণ্টা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে নজর রাখতে হবে। পুজো আসছে। কমিটি গুলোর কোনও অসুবিধা না হয়। জেলাশাসক থেকে শুরু করে প্রশাসন নজরদারি করবে।