Baruipur Hospital: শ্বাসকষ্টে একরত্তি তবুও সময়ে ‘অমিল’ চিকিৎসক! এখনও ছন্দে ফিরল না বারুইপুরের OPD
Baruipur Super Specialty Hospital: এর আগে শনিবারও টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিত্র। সেই সময় দেখা গিয়েছিল, সকাল ১১টাতেও ওপিডি পরিষেবা চালু হয়নি।
কলকাতা: রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির বহির্বিভাগের পরিষেবা নিয়ে লাগাতার খবর করে চলেছে টিভি নাইন বাংলা। খবরের জেরে সরকারি সময়ে ওপিডি চালু করতে দাওয়াই প্রয়োগ করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সেই সূত্রেই বারুইপুরে স্বাস্থ্য ভবনের (Swastha Bhawan) তরফে পরিদর্শক দল পাঠানো হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব। দাওয়াই প্রয়োগে ওপিডি পরিষেবার হাল কি ফিরল? মঙ্গলবার তা যাচাইয়ে ফের বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Baruipur Super Speciality Hospital) হাজির টিভি নাইনের ক্যামেরা।
এর আগে শনিবারও টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিত্র। সেই সময় দেখা গিয়েছিল, সকাল ১১টাতেও ওপিডি পরিষেবা চালু হয়নি। শিশুরোগ, নাক-কান-গলা, হাড়, চর্মরোগ – সব বিভাগের ছবিটা ছিল কার্যত একই। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়মানুযায়ী সকাল ন’টায় ওপিডি পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। তবে মঙ্গলবারও যে সকাল ন’টায় ওপিডি পরিষেবা চালু হয়েছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে সওয়া দশটার মধ্যে ত্বক, শিশুরোগ-সহ একাধিক বহির্বিভাগে ডাক্তারবাবুদের দেখা মিলেছে। জেনারেল সার্জারি, দন্ত বিভাগে অবশ্য সেই ছবির দেখা মেলেনি।
তবে একঘণ্টার দেরিও যে বিপদ ডেকে আনতে পারে তার প্রমাণ ১১ মাসের ছোট্ট শিশু তিয়াস মণ্ডল। বারুইপুরের বাসিন্দা তিয়াসের ভোররাত থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে জ্বর। বেসরকারি হাসপাতালে সকালে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়নি। তাই ওপিডি-তে সকাল ন’টায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের দেখা মিলবে, এই আশায় বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে একরত্তি মেয়েকে নিয়ে আসেন তার বাবা তাপস মণ্ডল ও মা রিয়া মণ্ডল।
জরুরি বিভাগে তিয়াসকে নিয়ে গেলে অসুস্থ শিশুকে ওপিডি-তে পাঠানো হয়। সাড়ে ন’টার সময় ওপিডি-তে ডাক্তারবাবুর দেখা না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাবা-মা। টিভি নাইন বাংলা শিশুকে নিয়ে সুপারের অফিসে যায়। কিন্তু সুপার ভিডিয়ো কনফারেন্সে ব্যস্ত ছিলেন। এরপর টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মুক্তিসাধন মাইতির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে জানান, ওপিডি’তে ডাক্তারবাবু এসেছেন। শিশুর মাও তাঁর স্বামীকে ফোন করে একই কথা জানান। ওপিডি-তে দেখিয়ে পরে শিশুর বাবা জানান, মেয়েকে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। শিশুর মা বলছেন, ওপিডি-র চিকিৎসক তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি আগেই চলে এসেছিলেন। কিন্তু সিস্টাররা জানতেন না তিনি পৌঁছে গিয়েছেন।