Calcutta High Court Chaos Updates: বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনের দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টার ছেঁড়া হল

Calcutta High Court: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট সংক্রান্ত চিঠিতে বিরক্ত খোদ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনিও এবিষয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 

Calcutta High Court Chaos Updates: বিচারপতির রাজাশেখর মান্থার বাড়ির সামনের দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টার  ছেঁড়া হল
বিচারপতির বাড়ির সামনে সাঁটানো পোস্টার ছেঁড়া হল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2023 | 2:49 PM

কলকাতা: হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট সংক্রান্ত ইস্যুটি আরও জটিল হল। সোমবারের পর মঙ্গলবারও বিচারপতির এজলাসে এক আইনজীবীকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারী আইনজীবীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাতেই কিছুটা ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। হাইকোর্টের ওসিকে তলব করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিচারপতির নির্দেশ, ‘প্রয়োজনে ফোর্স বাড়ান।’ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাস বয়কট সংক্রান্ত চিঠিতে বিরক্ত খোদ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। তিনিও এবিষয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

KEY Highlights

  1. বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যোধপুর পার্কের বাড়ির এলাকায় যে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এলাকায় যেখানে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল কোন জায়গাতেই আর তা নেই, সবটাই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বিচারপতির বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
  2. বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মঙ্গলবার সকালে এজলাসে ঢোকার সময়েই বাধা দেন। আইনজীবীদের একাংশ তাঁকে বাধা দেন। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে এজলাসের বাইরে ফোর্স বাড়ান। কেউ এজলাসে আসতে চাইলে তাকে যেন বাঁধা না দেওয়া হয়।
  3. বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট করে দেন, যাঁরা আসতে চান, তাঁরা যেন এজলাসে প্রবেশ করতে পারেন। যাঁরা আসতে চান না, সেটা তাঁদের বিষয়।
  4. এক আইনজীবী, বিচারপতি মান্থার এজলাসে প্রবেশ করার সময় তাকে বাঁধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই বিচারপতির এই নির্দেশ। হাইকোর্টের তিন রেজিস্টার জেনারেলকেও তলব করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
  5.  রেজিস্টার জেনারেল-কেও নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে যেন অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। সেই বিষয়টি যেন নজরে রাখা হয়।
  6. সোমবার থেকে যে বিক্ষোভ চলছিল, তার রেশ এখনও রয়েছে গিয়েছে হাইকোর্টে। বারের একশো জন আইনজীবী একটি চিঠি দিয়ে দাবি করছেন, যে ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে কোনও বিচারপ্রক্রিয়ায় তাঁর অংশগ্রহণ করবেন না।
  7. অথচ বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ঘোষ বলেন, তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেনই না। বার প্রেসিডেন্ট অরুণাভ ঘোষের বক্তব্য, “রেজিলিউশনই নেওয়া হয়নি, ওটা মিথ্যা চিঠি। ওটা এক্তিয়ার বহির্ভূত। প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি, ভাইস প্রেসিডেন্ট কেউ জানেনই না। ভাইস প্রেসিডেন্ট চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতিকে, যে এরকম কোনও রেজিলিউশন হয়নি। ট্রেজারার  রেজিলিউশন নেওয়ার কে? একটা বাজে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলির জন্য। আদালত বয়কট কেন হবে? রাজ্যের পক্ষে রায় দিচ্ছে না বলে নাকি রাজ্যের পক্ষে রায় দিচ্ছে? এসবের জন্য।”
  8. এই পরিস্থিতিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে গিয়ে আবেদন করেন, “আদালত স্বত:প্রণোদিত হয়ে অবমাননা রুল জারি করুক।”
  9. বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাস বয়কটের বারের চিঠি দেখে বিরক্ত প্রধান বিচারপতিও। তিনি বলেন, ” আশ্চর্য হলাম। সোনাল সিনহা (সহ সম্পাদক) স্বাক্ষর করছেন। লেটার হেডে লেখা রয়েছে একটা বিষয়। আবার চিঠির মধ্যে লেখা অন্য। জানি না কী হচ্ছে!” তাঁর পর্যবেক্ষণ,  “একটা প্রেস্টিজিয়াজ কোর্ট। বার কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।” এরপরই বারের চিঠি নিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।