AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Covid Vaccine: একে পুজো, দোসর বন্ধ টিকাকরণ, চারদিনে টিকা পাবেন না প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার

KMC: পুজোর শুরুতেই হু হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। গত তিন দিনে সাড়ে ৭০০ পার করে গিয়েছে একদিনে আক্রান্তের সংখ্য়া।

Covid Vaccine: একে পুজো, দোসর বন্ধ টিকাকরণ,  চারদিনে টিকা পাবেন না প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার
চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2021 | 3:21 PM
Share

কলকাতা: পুজোর চারদিন কলকাতা পুরসভা (KMC) কোভিডের টিকা দেবে না। বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পুরসভার সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র-সহ অন্যান্য যে সব জায়গায় পুরসভা টিকা দিচ্ছে, সেখানে টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু পুজোর সময় কেন এই সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুরসভার কর্মীদেরও একাংশ মনে করছেন, এই চারদিনের ‘ছুটি’র ফলে টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ। চারদিন টিকাকরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বলছেন, টিকাকর্মীদের আবেদনকে মান্যতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

পুরসভার এক শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, গত মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে পুরসভার তরফে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার পর্যন্ত টিকার ডোজ় দেওয়া হয়েছে। তবে অক্টোবরের শুরুতে সেই গ্রাফ কিছু নামে। গত সাত-আটদিনে প্রতিদিন পুরসভার তরফে কলকাতায় টিকাকরণ হয়েছে গড়ে ৩০ থেকে ৩১ হাজারের মতো। ওই আধিকারিকেরই বক্তব্য, পুজোর চারদিন টিকাকরণ হলে এই সংখ্যাটাই গড়ে টিকা পেতেন। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার ডোজ় টিকা দেওয়া হতো বলেই মনে করছেন তিনি। সেক্ষেত্রে চারদিনে সংখ্যাটা এক লক্ষ পার করে যেত।

কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের এ প্রসঙ্গে বলেন, “যাঁরা টিকা দেন তাঁরা আবেদন করেছিলেন, পুজোর চারটে দিন তাঁদের একটু ছাড় দিতে। টানা টিকা দিয়ে চলেছেন তাঁরা। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকের মাধ্যমে আমার কাছে আবেদন এসেছিল। আমি স্বাস্থ্য দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। আপাতত চারদিনের জন্য বন্ধ রাখছি। তবে চারদিন যে বাদ পড়ছে পরে বাড়তি দিনে সেই টিকা দিয়ে দেওয়া হবে।”

কিন্তু এই বিপদের সময় ১ লক্ষ পার করে টিকাকরণ, মোটেই সামান্য কোনও বিষয় না বলেই দাবি জনস্বাস্থ্য আধিকারিকদের। চিকিৎসক কাজলকৃষ্ণ বণিক স্পষ্টত বলছেন, “আমাদের লক্ষ্য যত বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা যায়। সে কারণেই দ্রুততার সঙ্গে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ চারদিন ধরে কলকাতা শহরে টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। এদিকে অন্যান্য কাজ চলবে। সেটা না হলেই ভাল হয়।”

কাজলকৃষ্ণবাবুর সংযোজন, “সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়েই করোনা টিকাকরণ করোনা মোকাবিলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ হাতিয়ার এ নিয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। সেই কাজটা যদি বন্ধ রাখা হয়, তাও চারদিন টানা, তা হলে তো সমস্যা হতেই পারে। আমরা বলছি যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব মানুষকে টিকা দিতে। অথচ এ ভাবে টিকা দেওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে!”

পুজোর শুরুতেই হু হু করে বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। গত তিন দিনে সাড়ে ৭০০ পার করে গিয়েছে একদিনে আক্রান্তের সংখ্য়া। একমাত্র টিকাকরণই পারে এই সংক্রমণের ডানা ছাঁটতে। একটা ডোজ় শরীরে গেলেও তার ক্ষমতা কিন্তু নেহাত কম নয় বলছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে সপ্তমী অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর  মঙ্গলবার, অষ্টমী ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার, নবমী ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ও দশমী ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার কোভিডের টিকা কাউকে তারা দেবে না। অর্থাৎ উৎসবের ভরা মরসুমেই প্রতিষেধক থেকে বঞ্চিত হবে কলকাতাবাসী। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে যখন মহিষাসুর বধের বন্দনা চলবে, ঘরে ঘরে তখন প্রশ্রয় পাবে করোনাসুর। ওদের পোয়া বারো। চারটে দিন দিব্য দাপিয়ে বেড়াবে এ শরীর, ও শরীরে। 

আরও পড়ুন: Covid Vaccine: পুজোর চারদিন কলকাতায় বন্ধ টিকাকরণ, জানাল পুরসভা