CPIM: সন্দেশখালিতে সেক্স টেরর! সুজনের প্রচারে ফুঁসে উঠলেন বৃন্দা
CPIM: যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি এত সুর চড়াচ্ছেন সেই তৃণমূলকেই তো আবার বারবার ইন্ডিয়া জোটে দেখা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গ উঠতেই ফের একবার চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন বৃন্দা। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “তৃণমূল কারও সঙ্গে জোট করতে পারে না। ওদের ডিএনএ তে জোট নেই।”
কলকাতা: শেষ বিধানসভাতে শূন্য, শেষ লোকসভাতেও বাংলায় শূন্য। এবার ফের লোকসভা। শূন্যর আগে বা পরে কোনও সংখ্য়া আদৌও কী জুড়তে পারবে বামেরা? বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে রোড শো করতে এসে তরুণ বাম নেত্রী তথা দীপ্সিতা, সৃজনদের সতীর্থ জেএনইউ খ্যাত ঐশী ঘোষ বলছেন, ভোট ঠিকঠাক হলে বাংলায় এবার খেলা ঘুরতে পারে। খেলা ঘোরাতে পারে বামেরা। তবে এদিন সুজনের সমর্থনে রোড শো-তে ঐশী, উষসীরা যেমন ছিলেন তেমনই সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বৃন্দা কারাটও। সুর চড়ালেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একহাত নিলেন বিজেপিকেও।
পোড় খাওয়া এই বাম নেত্রীর দাবি, গোটা দেশের যেমন বারোটা বাজিয়েছে বিজেপি, তেমনই বাংলার বারোটা বাজিয়েছে তৃণমূল। এদিন সন্দেশখালি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি সব নিয়েই ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগেন বৃন্দা। সাফ দাবি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ডাইরেক্টর টিএমসি। টাকা ফেরত দিতে হলে তৃণমূলকে দিতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। তাই কোর্ট যে টাকা ফেরাতে বলেছে ওই টাকা তো ওদের দেওয়া উচিত।
কয়েকদিন আগেই শাহজাহান গড় সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিদেশি অস্ত্র। নিষ্ক্রিয় করতে মাঠে নামতে দেখা যায় এনএসজিকে। এদিন এ প্রসঙ্গ উঠতেই রীতিমতো বিস্ময়ের সুরে বৃন্দা বলেন, “শাহাজাহানের একটা অফিসে এত অস্ত্র। সব তৃণমূল অফিসে কত আছে কে জানে।” তাঁর দাবি, সন্দেশখালিতে সেক্স টেরর হয়েছে। বলেন, “আমি তো সন্দেশখালিতে গিয়েছিলাম। ওখানে মহিলাদের উপর কী হয়েছে সবটাই তো দেখেছি। সন্দেশখালিতে যৌন সন্ত্রাস হয়েছে। এটা গোটা দেশে কোথাও দেখিনি। সেক্স টেররের ছবি দেখা গিয়েছে রীতিমতো। এটা প্রথমবার আমি দেখেছি।”
যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি এত সুর চড়াচ্ছেন সেই তৃণমূলকেই তো আবার বারবার ইন্ডিয়া জোটে দেখা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গ উঠতেই ফের একবার চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন বৃন্দা। স্পষ্ট ভাষায় বললেন, “তৃণমূল কারও সঙ্গে জোট করতে পারে না। ওদের ডিএনএ তে জোট নেই। এখানে বাম কংগ্রেসের ইন্ডিয়া জোট রয়েছে। বাংলায় তৃণমূল নেই। গোটা দেশে কী করে থাকবে যখন বাংলায় নেই। বিজেপি আরএসএসকে হারাতে চায় ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। আমরা তার বিরুদ্ধেও লড়তে চাই।”