AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জীবনচক্র শেষ হতে চলেছে, তবুও ‘মৃত্যু’র আগে বৃহস্পতিবার বাংলার কোন জেলাগুলিকে ভাসাবে ‘ইয়াস’?

জীবনচক্র শেষ! ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ইয়াস (Cyclone Yaas)। মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এখন উত্তর ওড়িশা (Odisha) উপকূল অতিক্রম করছে। অভিমুখ ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দিকে।

জীবনচক্র শেষ হতে চলেছে, তবুও 'মৃত্যু'র আগে বৃহস্পতিবার বাংলার কোন জেলাগুলিকে ভাসাবে 'ইয়াস'?
ছবি- টুইটার
| Updated on: May 27, 2021 | 7:54 AM
Share

কলকাতা: জীবনচক্র শেষ! ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে ইয়াস (Cyclone Yaas)। মৌসম ভবনের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এখন উত্তর ওড়িশা (Odisha) উপকূল অতিক্রম করছে। অভিমুখ ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) দিকে।

বৃহস্পতিবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলা- পশ্চিম মেদনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া পুরুলিয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় আকাশ মেঘলা থাকবে। কয়েকটি জায়গায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪পরগনা ও নদিয়াতেও বজ্র বিদুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়খণ্ডেও। বুধবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর। ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়েছে সে। বুধবার রাতের মধ্যেই শক্তি হারিয়ে ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।

গত ২৪ মে সোমবার বঙ্গোপসাগরের বুকে জন্ম হয়েছিল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, সময়টা ছিল সকালে সাড়ে ৮টা। ৬৩ ঘণ্টার জীবনচক্র পেরিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় তা শেষ হয়ে গিয়েছে। শক্তি ক্ষয় করতে করতে ইয়াস অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: Cyclone Yaas: অদ্ভূত নিঃস্তব্ধতা ছিল, আচমকাই বুক কাঁপানো হু হু শব্দ আর মুহূর্তেই সব শেষ! ৪২ বছরে এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেন নি ওঁরা

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমফানের থেকে চরিত্রে অনেকটাই আলাদা ইয়াস। মৌসম ভবন বলছে, অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ‘চোখ’ তৈরি হয়নি। তবে ইয়াস ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার মধ্যবর্তী রাস্তায় প্রবল তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রভাব পড়েছে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেও। তবে বিপর্যয়ের মাত্রা বাড়িয়েছিল পূর্ণিমার ভরা কোটাল। সাগর-সমুদ্রের প্রবল জলোচ্ছ্বাসেই বাংলার গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত।