Kolkata Municipal Corporation: বিপজ্জনক তিনতলা বাড়িতে ২৫ পরিবারের বাস! ভাঙতে এসেও ভাঙা হল হল না পুরকর্মীদের
KMC : কলকাতা পুরনিগমের থেকে এদিন ওই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙার নোটিস নিয়ে বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা ভাঙতে আসেন। সেই সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা রাস্তায় নেমে আসেন। কোনওরকম নোটিস ছাড়াই কেন এসেছেন পুরনিগমের কর্মীরা, তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ।
কলকাতা : শহরের ভিতরে বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে এসে রীতিমতো বাধার মুখে পড়তে হল কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) কর্মীদের। কোনওভাবেই বাড়ি ভাঙা চলবে না। জানিয়ে দিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। এমনই ঘটনা ঘটেছে জোড়াবাগান থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪এ নিমতলা ঘাট স্ট্রিট রোডে। দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে এই ঠিকানার তিনতলা বাড়িটি। সেখানে প্রায় ২৫টি পরিবারের বসবাস। কলকাতা পুরনিগম ৬৯টি অতি বিপজ্জনক বাড়ি তালিকা তৈরি করেছে। যেগুলি ভেঙে পড়লে কলকাতা পুরনিগমের বিরাট বড় বিপর্যয় ঘটে যাবে। সেই তালিকায় প্রথম নাম রয়েছে এই বাড়িটির। কলকাতা পুরনিগমের থেকে এদিন ওই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙার নোটিস নিয়ে বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা ভাঙতে আসেন। সেই সময় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা রাস্তায় নেমে আসেন। কোনওরকম নোটিস ছাড়াই কেন এসেছেন পুরনিগমের কর্মীরা, তা নিয়েই শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ। ঘটনাস্থলে আসেন জোড়াবাগান থানা পুলিশ এবং ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবলরা।
পুলিশকর্মীরা ওই বাড়ির বাসিন্দাদের বোঝাতে থাকেন, কেন বিপজ্জনক অংশ ভাঙা প্রয়োজন। কিন্তু নাছোড়বান্দা ওই বাড়ির বাসিন্দারা কোনওভাবেই ভাঙতে দেননি। তাঁদের কথায়, এত ঘূর্ণিঝড় গিয়েছে। কিন্তু আমাদের এই বাড়ি কোনভাবেই ভেঙে পড়িনি। তাহলে আজ কেন ভাঙার প্রয়োজন হয়ে পড়ল। তাঁরা এও অভিযোগ করেন, বাড়িওয়ালা এবং কলকাতা পুরনিগমের কর্তাদের অনেকবার বলা হয়েছে, এই বাড়িটি ভেঙে নতুন বাড়ি করে দিতে। এখন যদি বিনা নোটিসে বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ১৯৮৬ সালে এই বাড়ির একজন ভাড়াটিয়া মূল মালিকের কাছ থেকে পুরো বাড়িটা কিনে নেন। কিন্তু তারপর থেকে বেহাল অবস্থায় থাকলেও কোনও সংস্কার করেনি।
কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অত্যন্ত জরাজীর্ণ এই বাড়ি নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় সেখানকার ট্রাফিক কনস্টেবলরাও। তাঁদের কথায়, বাড়ি ভাঙা না হলে যে কোনও সময় ওই এলাকায় বিপর্যয় ঘটে যাবে। যে কারণে তাঁরা পুরনিগমকে চিঠিও দিয়েছেন । ওই বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙতে আসা পুরনিগমের কর্মীরা জানান, বারবার ওই বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেগুলি ছিড়ে ফেলেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিপজ্জনক বোর্ডও লাগানো হয়েছিল। সেটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বাড়িটির যা পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিরাট বড় বিপর্যয় ঘটে যাবে।
আরও পড়ুন : Jagdeep Dhankhar: ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার পথে অসুস্থ রাজ্যপাল! মাঝরাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে ফিরলেন রাজভবনে