Dilip Ghosh: কার কথায় চুপ হয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ! বিকেলেও সংবাদমাধ্যমে কোনও কথা বললেন না
Dilip Ghosh: এদিন দুপুরে আচমকা বিধানসভায় যান দিলীপ ঘোষের। সেখানেও ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলেননি তিনি। বিধানসভায় গেলেও বিজেপির পরিষদীয় দলের ঘরে কিংবা বিরোধী দলনেতার ঘরে যাননি তিনি। সোজা গিয়ে বসেন বিধানসভার রিপোর্টার রুমে।
কলকাতা: কলকাতায় থাকলে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করা তাঁর রুটিনের মধ্যে পড়ে। দলীয় পদ নেই, সাংসদও হতে পারেননি এবার। তারপরও রুটিন বদলায়নি। ভোটের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। হারের পর তিনি বলেছেন, কাঠিবাজি তো হয়েছেই। জেতা আসন (মেদিনীপুর) থেকে কেন তাঁকে সরানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। সেই দিলীপ ঘোষ আচমকাই বলে দিলেন, তিনি সংবাদমাধ্যমে আর কোনও কথা বলবেন না।
শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আর কথা বলবেন না তিনি, কথা বলবেন শুধুই মানুষের সঙ্গে। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। তবে কি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে মুখ বন্ধ করছেন দিলীপ? দিলীপের কথায় অস্বস্তি বাড়ছিল বলেই কি এমন সিদ্ধান্ত? দিলীপ এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা না দিলেও বিরোধীরা বলছেন, ভাবমূর্তি বদলাতেই এমন সিদ্ধান্ত।
এদিন দুপুরে আচমকা বিধানসভায় যান দিলীপ ঘোষ। সেখানেও ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলেননি তিনি। বিধানসভায় গেলেও বিজেপির পরিষদীয় দলের ঘরে কিংবা বিরোধী দলনেতার ঘরে যাননি তিনি। সোজা গিয়ে বসেন বিধানসভার রিপোর্টার রুমে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এই পরিস্থিতি একদিনে হয়নি। উনি একটু অন্য ধরনের রাজনীতিক। মুখে কোনও আগল নেই। অনেক সময় শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে যান।” তৃণমূল মুখপাত্র মনে করছেন, আরএসএস ও বিজেপি দিলীপ ঘোষকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে। তিনি বলেন, “বিজেপি সভাপতি পদে আবার নিয়ে আসবে বলেই কি এমন সিদ্ধান্ত? ভাবমূর্তি পরিবর্তনের জন্যই হয়ত শীর্ষ নেতৃত্ব এমনই নির্দেশ দিয়েছে।”