Durga Puja: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘দড়ি টানাটানি’? মহালয়ার আগেই পুজোর উদ্বোধন প্রসঙ্গে যা বললেন দিলীপ…

Dilip Ghosh: কেন্দ্রের অনুষ্ঠান রাজ্যকে পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা? শনিবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ বক্তব্য, "এটা নিয়ে যেভাবে দড়ি টানাটানি হচ্ছে সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়।"

Durga Puja: দুর্গাপুজো নিয়ে 'দড়ি টানাটানি'? মহালয়ার আগেই পুজোর উদ্বোধন প্রসঙ্গে যা বললেন দিলীপ...
দুর্গাপুজো নিয়ে চরছে রাজনীতির পারদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 9:28 AM

কলকাতা: কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে শনিবার শহরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি ও সুভাষ সরকার। উল্লেখ্য, এর আগে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন করতে ১ সেপ্টেম্বর শহরের রাজপথে এক বিশাল পদযাত্রার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। এবার কি তাহলে কেন্দ্রের এই অনুষ্ঠান রাজ্যকে পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা? শনিবার সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ বক্তব্য, “এটা নিয়ে যেভাবে দড়ি টানাটানি হচ্ছে সেটা কাঙ্ক্ষিত নয়।”

দিলীপ ঘোষের পাল্টা প্রশ্ন, “এতে রাজ্যের কী ভূমিকা ছিল? এটি আন্তর্জাতিক বিষয়। কেন্দ্র না এগিয়ে এলে এটি কি আদৌ হত? সবাই জেনে গিয়েছেন, কার গবেষণার ফসল এটা। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এত বড়, মহান ব্যাপারে এই তুচ্ছ রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।” উল্লেখ্য, এদিন সকালের বিমানে করে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে রওনা দেন দিলীপ ঘোষ। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এই কথাই জানালেন দিলীপ বাবু।

প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন করার জন্য এই বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক মাস আগেই শারদোৎসবের সূচনা করে দিয়েছেন। ১ সেপ্টেম্বর পদযাত্রা হয়েছিল। মহালয়ার আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো উদ্বোধনের পালা। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কড়া ভাষায় জানান, “দুর্গাপুজো নিয়ে রাজনীতিকরণ হচ্ছে। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন হয়ে যাচ্ছে। যারা শাস্ত্র বিশারদ, তাঁরা জানেন, এটা উচিৎ নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতিকে ক্ষতবিক্ষত করছে।”

কীসের উদ্দেশ্যে পুজো এগিয়ে আনা হল? এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “এই সরকারের দুই নীতি। প্রথম – কামাও, খাও, মস্তি করো। দুই – মেলা, খেলা, লীলাতে ভুলে থাকো। মূল সমস্যা থেকে দূরে থাকো। এই করতে গিয়ে ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ ঝাঝরা হয়ে গিয়েছে।”