Bidhannagar: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া পোস্টার পড়ে মাটিতে, সুজিত বসুর ছেলের নামে এফআইআর

এক দলে থাকলেও সুজিত বসু (Sujit Bose) ও সব্যসাচী দত্তের (Sabyasachi Dutta) ব্যক্তিগত সমীকরণ একেবারেই মধুর ছিল না। দুই নেতার ‘বিরোধিতা’ ছিল সুবিদিত।

Bidhannagar: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া পোস্টার পড়ে মাটিতে, সুজিত বসুর ছেলের নামে এফআইআর
সব্যসাচী দত্ত ঘরে ফিরতেই ফের পুরনো গোলমালের আশঙ্কা দানা বাধছে তৃণমূলে। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 15, 2021 | 10:52 PM

কলকাতা: সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) ঘরে ফিরতেই ফের পুরনো গোলমালের আশঙ্কা দানা বাধছে তৃণমূলে। যার ‘বোধন’টা দশমীর দিনই হয়ে গেল বলে মনে করছেন সব্যসাচী-অনুগামীরা। বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড এ নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে শুক্রবার। সব্যসাচীর এক অনুগামী শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছিলেন স্থানীয় এক পুজো মণ্ডপের সামনে। অভিযোগ, সেই পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আর এই ঘটনায় সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসুর নাম জড়িয়েছে। মন্ত্রী-পুত্রের বিরুদ্ধে বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআরও হয়েছে।

বিধাননগর পুরনিগমের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সিই ব্লকের পুজোয় শারদীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা সম্বলিত একটি পোস্টার লাগানো নিয়েই এই গোলমালের সূত্রপাত। এই পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক উদয়ন সরকারের অভিযোগ, শারদীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর একটি ছবি দিয়ে পোস্টার টাঙানো হয়েছিল। ঠিক তার পাশেই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসুর ছবি দেওয়া একটি পোস্টার। উদয়ন সরকারের অভিযোগ, সুজিত বসুর ছবি দেওয়া পোস্টারটি একেবারে অক্ষত রয়েছে। অথচ তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার ছিঁড়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

উদয়ন সরকারের দাবি, এই ওয়ার্ডটি বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের ছিল। সেখানেই এই পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক। এরপরই উদয়ন সরকার সমুদ্র বসুর নামে থানায় এফআইআর দায়ের করেন।

সূত্রের খবর, সব্যসাচী দত্তের সম্প্রতি তৃণমূলে ফেরা মোটেই ভাল ভাবে নেননি সুজিত বসু। দুই নেতার সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। সূত্রের দাবি, সব্যসাচীর দলে ফেরার খবর আসতেই দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু সাফ জানিয়ে দেন, “যার সঙ্গে রাজনীতি করা যায় না, তার সঙ্গে একই জায়গায় বসতে পারব না।” শুধু তাই নয়, বিষয়টি নাকি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বলেও শোনা যাচ্ছিল।

এক দলে থাকলেও সুজিত বসু ও সব্যসাচী দত্তের ব্যক্তিগত সমীকরণ একেবারেই মধুর ছিল না। দুই নেতার ‘বিরোধিতা’ ছিল সুবিদিত। এমনটাও শোনা যায় যে, বিধানসভা ভোটের আগে সুজিত বসুও নাকি বিজেপিতে শামিল হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সব্যসাচী দত্তের তীব্র আপত্তির কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি। যদিও এ কথা মানতে চাননি সুজিত বসু। বরং ভোটে জিতে সুজিতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “অশুভ লোকের হাত থেকে সাধারণ মানুষ বিধাননগরকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।” এসবের মধ্যে নতুন করে তাল ঠোকা শুরু সুজিত-সব্যসাচীর।

এফআইআরে উদয়ন সরকার অভিযোগ করেন, ‘১৪ অক্টোবর নবমীর দিন ঘটনাটি ঘটে। মাননীয় মন্ত্রী সুজিত বসুর ছেলে সমুদ্র বসু সিই ব্লকের পুজোমণ্ডপে এসেছিলেন। সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁরাই পোস্টারটি টেনে ফেলে দেন।’ যদিও এ ঘটনা প্রসঙ্গে সমুদ্র বসুর কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বাবা সুজিত বসু বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমার ছেলে কেমন তা সবাই জানে। কে বা কারা এসব ষড়যন্ত্র করছে তাও আমি জানি।”

আরও পড়ুন: Afghanistan Blast: নমাজ চলাকালীনই ভয়াবহ বিস্ফোরণ কান্দাহারের শিয়া মসজিদে, নিহত ৩২