Lok Sabha Election: লোকসভা ভোট করাতে জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও বেশি বাহিনী চাই বাংলায়, চিঠি দিল কমিশন
Loksabha Election: কমিশনের যা পরিকল্পনা, তাতে লোকসভা ভোটে বাংলার জন্যই সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান প্রস্তুত রাখতে চাইছে তারা। এখনও পর্যন্ত কমিশনের যা ভাবনা, তাতে বাংলায় ৯২০ কোম্পানি সিএপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্যে স্ট্রং রুম ও ইভিএমের নিরাপত্তার জন্য কনমিশন রাখতে চাইছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। কোন রাজ্যে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে কমিশন, সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কমিশনের যা পরিকল্পনা, তাতে লোকসভা ভোটে বাংলার জন্যই সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান প্রস্তুত রাখতে চাইছে তারা। এখনও পর্যন্ত কমিশনের যা ভাবনা, তাতে বাংলায় ৯২০ কোম্পানি সিএপিএফ বাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এর মধ্যে স্ট্রং রুম ও ইভিএমের নিরাপত্তার জন্য কনমিশন রাখতে চাইছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রসঙ্গত,২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৭৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এ রাজ্যে। হিসেব মতো দেখতে গেলে, এবার প্রায় ২০০-র কাছাকাছি অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করার পরিকল্পনা রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। শুধু তাই নয়, দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে সর্বাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাতেই। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে জম্মু ও কাশ্মীরের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলার জন্য তৈরি রাখতে চাইছে কমিশন। জম্মু ও কাশ্মীর সর্বোচ্চ ৬৩৫ কোম্পানি সিএপিএফ চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মাওবাদী উপদ্রূত ছত্তীসগঢ়ের জন্য সর্বোচ্চ ৩৬০ কোম্পানি বাহিনী রাখার পরিকল্পনা কমিশনের।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বাকি রাজ্যগুলির জন্য কত কোম্পানি বাহিনী তৈরি রাখতে চাইছে কমিশন? উত্তর প্রদেশের জন্য চাইছে ২৫০ কোম্পানি, গুজরাটের জন্য চাইছে ২০০ কোম্পানি, বিহারের জন্য ২৯৫ কোম্পানি। অন্ধ্র প্রদেশের জন্য চাওয়া হচ্ছে ২৫০ কোম্পানি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের থেকে সব মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৪০০ কোম্পানি সিএপিএফ বাহিনী চেয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।