Bangladesh Bank Fraud: বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে প্রশান্ত ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ED
Hawala Case: বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bangladesh Bank Fraud) ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। কলকাতার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে মঙ্গলবার ওই চার্জশিট জমা পড়েছে।
কলকাতা : বাংলাদেশে আর্থিক কেলেঙ্কারির পর গা ঢাকা দেওয়ার জন্য এপার বাংলায় চলে এসেছিল প্রশান্ত হালদার। পশ্চিমবঙ্গে এসে বেশ কিছুদিন উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর এলাকায় ঘাপটি মেরে ছিল সে। মাসখানেক আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর তদন্তে নেমে জাল গোটাতে শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এবার বাংলাদেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির (Bangladesh Bank Fraud) ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত হালদার সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল ইডি। কলকাতার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে মঙ্গলবার ওই চার্জশিট জমা পড়েছে। ইডির জমা করা ওই চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে, তারা হল – ইমাম হালদার, আমানা সুলতানা, স্বপন মিত্র, উত্তম মিস্ত্রী এবং প্রাণেশ হালদার। প্রশান্ত হালদারের সঙ্গী এই পাঁচ অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইডির আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই প্রশান্ত হালদারকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, বাংলাদেশে এরা (চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে) প্রায় কয়েক’শো কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করেছে। তারপর সেই জালিয়াতির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতে পাঠায়। এরপর সেই জালিয়াতির কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় খাটিয়ে ‘সাদা’ করার চেষ্টা করা হয়। প্রসঙ্গত, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছিল ভারত সরকারের কাছে। তারপর বিষয়টির তদন্ত শুরু করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা।
বাংলাদেশের ব্যাঙ্কে আর্থিক জালিয়াতির মামলার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ইডির তরফে আট কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বাংলো, ফ্ল্যাট, জমি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের টাকা। সম্প্রতি রাজারহাট, অশোকনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরটের আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ মামলা রয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের তরফে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ প্রশান্ত হালদার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪ টি মামলা করা হয়েছিল।