Shantanu Banerjee: কয়েক বছরেই কীভাবে চড়চড়িয়ে বাড়ল ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, ৭ ঘণ্টা ধরে শান্তনুকে ম্যারাথন প্রশ্ন ইডি-র
SSC Scam: সূত্রের খবর, গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে ঢোকেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় তাঁর।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার তলব করা হয়েছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Santanu Banerjee)। এর আগে কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শান্তনুকে। ইডি আধিকারিকরা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এজেন্ট ছিলেন তিনি। সেই কারণে ফের একবার তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শান্তনুকে।
সূত্রের খবর, গতকাল দুপুর ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে ঢোকেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় তাঁর। সন্ধ্যে ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ইডি দফতর থেকে বাইরে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গোপাল দলপতি-তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষের যে বয়ান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা রেকর্ড করেছিলেন সেই বয়ানের ভিত্তিতেই শান্তনু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক বছরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুন বেড়েছে। বেড়েছে ব্যাঙ্ক ব্যালান্স। কীভাবে এত সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে তাও এ দিন জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কীভাবে পরিচয়, নিয়োগ দুর্নীতি কীভাবে চলত, এমনকী কালো ডায়ারির কথা শান্তনু জানতেন কি না এদিন তাঁকে প্রশ্ন করেন ইডি আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, এই যুবনেতা জিরাট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্ব পান প্রথমে। পরে ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন দীর্ঘদিন। এরপর যুব সংগঠনের জেলা সভাপতিরও দায়িত্বে ছিলেন কিছুদিন। তারপর রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতির দায়িত্বও পেয়েছিলেন। হুগলি জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যুব তৃণমূলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
কয়েকদিন আগে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তারপরেই আয়কর রিটার্ন এবং তাঁর বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি তলব করা হয়। সেই নথি গতকাল ঘেঁটে দেখেন ইডি কর্তারা।