Election Commission: ভোট প্রচারে আর ব্যবহার করা যাবে না স্কুল-কলেজের মাঠ, নির্দেশিকা কমিশনের
Election Commission of India: সরকারি হোক বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোক বা বেসরকারি হোক, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা তাদের মাঠ ভোট প্রচারের কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
কলকাতা: ভোটের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না স্কুল মাঠ। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনী প্রচারের সময় শাড়ি বা জামা বিলি করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিন নির্বাচনী প্রচার আর ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে প্রচার নিয়ে যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, তাতে এমনই উল্লেখ রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব, প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির কাছে কমিশনের এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয় স্তরে যেমন নিয়ম-বিধি রয়েছে, তা মেনে রাজনৈতিক সভা, মিছিল করা যাবে। সভা কিংবা মিছিলে পতাকা, ব্যানার, কাট-আউটও স্থানীয় আইন মেনে করতে হবে। এই ধরনের কর্মসূচিতে টুপি, মাস্ক, স্কার্ফ দেওয়া গেলেও শাড়ি, জামা বা সমতুল্য কোনও পোষাক বিলি করা যাবে না। সরকারি হোক বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত হোক বা বেসরকারি হোক, কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা তাদের মাঠ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।
এর পাশাপাশি আরও একগুচ্ছ নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ভোটের প্রচারের কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, গাড়ির সঙ্গে ফ্ল্যাগ বা স্টিকার ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে যাতে তা অন্যান্য লোকেদের সমস্যা না হয়, সেই দিকটিও স্পষ্ট করতে হবে। তবে কমার্শিয়াল বা বাণিজ্যিক ব্যবহারের কোনও গাড়িতে ফ্ল্যাগ বা স্টিকার ব্যবহার করা যাবে না। যদিও ওই বাণিজ্যিক গাড়িটি বৈধ উপায়ে নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে অবশ্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির সঙ্গে লাউডস্পিকার লাগানো যাবে, তবে তা মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট মেনে করতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।