‘সাজানো ঘটনা’! ত্রিপুরায় যা হয়েছে সবই ‘নাটক’ বললেন দিলীপ ঘোষ
আজ সকালে মহামারী আইন ভাঙার অভিযোগে তৃণমূলের ১১ জন নেতা-নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
আগরতলা: শনিবার থেকেই উত্তপ্ত আগরতলা। গতকাল দুপুরে সংগঠনের কাজে যাওয়ার সময় আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতারা। ইটের আঘাতে মাথা ফাটে তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহার। আক্রান্ত হন দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্তও। আর আজ সকালে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তৃণমূল নেতাদের। অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। খবর পেয়েই ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন। তবে এই পুরো ঘটনাকে ‘নাটক’ বলেই উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এর আগে অসমে গিয়ে অনেক নাটক করেছেন ওনারা। একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারেনি।’ অর্থাৎ দিলীপ ঘোষের দাবি, ত্রিপুরায় গিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।তাঁর দাবি, যে রাজ্যে তৃণমূলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক, পঞ্চায়েত সদস্যও নেই সেখানে কেন, তৃণমূলকে আক্রমণ করা হবে? তাঁর কথায়, ‘এরকম মারামারি করে মনে হয় না তৃণমূল ওখানে সংগঠন করতে পারবে।’ তিনি বলেন, ‘দিদি নাটক করেন, ভাই-রা আরও বেশি নাটক করেন।’ বিজেপির অন্যান্য নেতাদের মতোই দিলীপ ঘোষও বলেন, হিংসার রাজনীতি তৃণমূলই ত্রিপুরায় নিয়ে যাচ্ছে। পুরো অভিযোগই ‘সাজানো ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ। গতকাল রাজ্য বিজেপির আর এক নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও দাবি করেন, ত্রিপুরায় কোনও রাজনৈতিক অশান্তি ছিল না। তৃণমূলই অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে।
গতকাল রাতভর তৃনমূল নেতাদের ত্রিপুরার খোয়াই থানায় লেখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সকালে মহামারী আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আজ ত্রিপুরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষ এ দিন বলেন, ‘ত্রিপুরার পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের সহকর্মীরা কাল সারারাত অবরুদ্ধ ছিল। গুন্ডারা তাদের ফেরার রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। আমাদের একাধিক পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছে, ফ্লেক্স ব্যানার ছেড়া হয়েছে। আমরা যে হোটেলগুলোতে থাকি সেখানে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে যাতে আমাদেরকে হোটেলে থাকতে না দেওয়া হয়।’ তৃণমূলের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সাংবাদিক বৈঠক করতে না পারেন, তার জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এ ভাবে বাধা দিচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।