AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সরছে ঘূর্ণাবর্ত, তবে স্রেফ একটা কারণেই এখনই কাটছে না দুর্যোগ! কী জানাল আবহাওয়া দফতর?

Weather Update: আবহাওয়াবিদরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন। খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বৃষ্টির সময়ে বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

সরছে ঘূর্ণাবর্ত, তবে স্রেফ একটা কারণেই এখনই কাটছে না দুর্যোগ! কী জানাল আবহাওয়া দফতর?
বর্ষার সকালে সুকিয়া স্ট্রিট ছবি- চিত্র সাংবাদিক মৃন্ময় চক্রবর্তী
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 9:28 AM
Share

কলকাতা: আপাতত সরছে ঘূর্ণাবর্ত, কাটছে দুর্যোগ। তবে এখনই বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। বিক্ষিপ্তভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। তবে এই বৃষ্টি ঘূর্ণাবর্তের জন্য হয় (Weather Update)। গাঙ্গেয় জেলাগুলিতে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছে, আর তার জেরেই বৃষ্টি। বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চারের ফলেই বৃষ্টি হবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সকাল ৯টার বুলেটিন অনুযায়ী, আগামী ১-২ ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টি আসবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বৃষ্টি হবে। মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের আশঙ্কাও।

আবহাওয়াবিদরা বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছেন। খুব প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বৃষ্টির সময়ে বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শনিবারই জমিতে কাজ করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বাসিন্দা জবা হাঁসদা। আচমকাই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে আমডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বজ্রপাতে মৃত্যু হয় পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্যক্তির। রামনগরের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর ওই ব্যক্তির নাম সত্যেন্দ্রনাথ জানা। তাঁর বাড়ি রামনগর থানার মৈতনা গ্রামে। তিনিও দুপুরে মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এদিকে, ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বানভাসি এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে,  দুর্গাপুর বারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ফের কিছুটা বাড়াল সেচ দফতর । দুর্গাপুর বারাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ৫৯,৩৭৫ কিউসেক জল । ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে মিলিত ভাবে ছাড়া হচ্ছে ৩৫,০০০ কিউসেক জল।

এদিকে বারাজের জল, অন্যদিকে রাত থেকে টানা বৃষ্টি। হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ার বানভাসি এলাকার মানুষ এখন দুর্যোগের ত্র্যহস্পর্শে কাতর। বৃষ্টি চলছে হুগলির আরামবাগ,খানাকুল ,পুড়শুড়া ও গোঘাটে। এমনিতেই খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রাম এখনও জলের তলায়। বেশ কিছু এলাকায় দুর্গতরা ছাদে ত্রিপল টানিয়ে জীবন যাপন করছেন। রাত থেকে বৃষ্টিতে সেই সমস্ত বন্যাদুর্গতদের অবস্থা আরও করুণ হয়ে উঠেছে। এদিকে রূপনারায়ণের জল খানাকুলের ধানঘ্যোরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পাত্র পাড়া ও মাইতি পাড়া এলাকা দিয়ে গ্রামে ডুকছে এখনো। তবে নতুন করে খানাকুলে বন্যার জলস্তর বাড়ে নি। জল কমলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি ঘাটালে। আরও পড়ুন: ভোরেই নামল আঁধার! টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণ বাংলায়