Fire In Kolkata: ফরেনসিক রিপোর্টেই স্পষ্ট হবে আগুন লাগার কারণ, হাই পাওয়ার কমিটির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
Fire In Kolkata: ঘিঞ্জি এলাকায় অবৈধ নির্মাণ, বেআইনি কারখানা। কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সেখানকার অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। খতিয়ে দেখতে নতুন হাই পাওয়ার কমিটির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: ফরেনসিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ট্যাংরার আগুন লাগার কারণ জানা যাবে না। ফরেনসিক রিপোর্ট ও পুলিশের তদন্তের পরেই, কার গাফিলতি ছিল তা জানা যাবে। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে এমনই জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। রবিবার দুপুরে ট্যাংরায় ওই ভস্মীভূত গুদাম দেখতে যান তিনি। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন দমকলকর্মীদের সঙ্গে। এদিকে, শহরের কোথাও কোন ঘিঞ্জি এলাকায়, এই ধরনের কারখানা রয়েছে, সেই কারখানাগুলিতে আদৌ কোনও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘিঞ্জি এলাকায় অবৈধ নির্মাণ, বেআইনি কারখানা গড়েছে প্রচুর। কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে সেখানকার অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। খতিয়ে দেখতে নতুন হাই পাওয়ার কমিটির নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার মেয়রকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। পুলিশ, পুরসভা এবং দমকল বিভাগের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে কমিটি। শহরের বিভিন্ন ঘিঞ্জি এলাকা ঘুরে রিপোর্ট দেবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
শনিবার সন্ধেয় যে আগুন লেগেছিল, তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগে ১৬ ঘণ্টারও বেশি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দমকলবাহিনী। কিন্তু কেন এখনও নিভছে না ট্যাংরার আগুন? দমকল ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রেক্সিনের মধ্যে থাকা ৪ রাসায়নিকের জন্যই আগুন নিভছে না। রেক্সিনে থাকে সেলুলোজ নাইট্রেট । সেলুলোজ নাইট্রেট লো ইন্টেন্সিটি বিস্ফোরক। ক্যামফর অয়েল, রজক পদার্থ থাকে রেক্সিনে। রেক্সিনে অ্যালকোহল থাকায় নিভছে না আগুন । রেক্সিনের মধ্যে থাকা রাসায়নিকেই ছড়াচ্ছে আগুন। দাহ্য পদার্থে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। রাসায়নিকগুলি আগুনের কবলে এসে দ্রুত ছড়ায় । আগুন ততক্ষণ জ্বলে যতক্ষণ রাসায়নিক উপস্থিত থাকে। তাই আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খান দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: Fire In Kolkata: বাম আমলে ভরাট করার চেষ্টা হয়েছিল, সেই পুকুরই বাঁচিয়ে দিল ট্যাংরার মানুষগুলোকে