Election Commission: দিকে দিকে আধাসেনার বুটের আওয়াজ, আজই রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ১৫ সদস্যের ফুল বেঞ্চ
Election Commission: ইতিমধ্যে রাজ্যে পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে ১ কোম্পানি আধা সেনা। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কাঁধে মিলিয়ে চলছে রুটমার্চ। সন্দেশখালির আবহে বর্তমানে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়।
কলকাতা: দিল্লি থেকে রবিবারই রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। দলে থাকছেন ১৫ জন সদস্য। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকের কথাও রয়েছে। বৈঠকে থাকবেন রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার। আসছেন চিফ ইলেকশন কমিশনার রাজীব কুমার। আসছেন ইলেকশন কমিশনের ডেপুটি কমিশনার। সোমবার বৈঠক রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে রাজ্যে পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলায় জেলায় পৌঁছে গিয়েছে ১ কোম্পানি আধা সেনা। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কাঁধে মিলিয়ে চলছে রুটমার্চ। সন্দেশখালির আবহে বর্তমানে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায়। মূলত ভোচের আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে, ভোটারদের মনোবল বাড়াতেই আগাম রাজ্যে বাহিনী পাঠিয়ে দিয়েছে দল। কিন্তু, ভোট ঘোষণার আগেই কেন ময়দানে নেমেছে বাহিনী সেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে জলঘোলাও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও বিজেপির দাবি, এটা দরকার ছিল।
এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের রাজ্যে আসা যে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত, শেষ বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেনজির হিংসা-অশান্তির ছবি দেখা গিয়েছে বাংলায়। ঝরেছে প্রাণ। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। এই প্রেক্ষাপটে শান্তিপূর্ণ লোকসভা ভোট যে বড় চ্যালেঞ্জ তা মানছেন সকলেই। এদিকে শনিবার রাতেই আবার রাজ্যের ৪২ আসানের মধ্যে ২০টি আসনে প্রার্থী তালিকা সামনে এনেছে বিজেপি। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। শোনা যাচ্ছে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই যে কোনও সময় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে কমিশন।