AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Group C Recruitment Case: গ্রুপ ডি-র অনুসন্ধান কমিটির হাতেই গেল গ্রুপ সি-র তদন্তভার

Group C Recruitment Case: সওয়াল জবাবের সময়ে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণত অর্থ দফতর বেতন দেওয়ার আগে অনেক স্ক্রুটিনি করে। রাজ্যের কোষাগারের টাকা দেওয়ার আগে কেন সেটা করা হয়নি।

Group C Recruitment Case: গ্রুপ ডি-র  অনুসন্ধান কমিটির হাতেই গেল গ্রুপ সি-র তদন্তভার
কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Feb 24, 2022 | 1:05 PM
Share

কলকাতা: গ্রুপ সি মামলায় এবার তদন্ত কমিটি করে দিল হাইকোর্ট ৷ তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। গ্রুপ সি দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি আর কে বাগের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই কমিটিই গ্রুপ ডি মামলার তদন্ত করেছিল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। যে আইন ভাঙবে তাকে শাস্তি পেতে হবে বৃহত্তর স্বার্থে।” কমিশনের বক্তব্য, তারা কোন রেকমেন্ড করেনি, তবু আদালত মনে করছে এর অনুসন্ধান হওয়া উচিত।

কে নিয়োগ করল প্রশ্ন থাকছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও একটা দুর্নীতি হয়েছে ঠিকই। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের প্রয়োজন। আদালতের প্রথম পছন্দ স্বাধীন সংস্থা। আদালত এমন কাউকে কমিটির প্রধান করছে, যিনি রাজ্যের সঙ্গে কোন কাজে যুক্ত নন। স্থগিতাদেশ থাকছে সিবিআই তদন্তের উপর। আর কে বাগের নেতৃত্বে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর কে বাগ পাবেন এক লক্ষ টাকা বেতন।”

এদিন সওয়াল জবাবের সময়ে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণত অর্থ দফতর বেতন দেওয়ার আগে অনেক স্ক্রুটিনি করে। রাজ্যের কোষাগারের টাকা দেওয়ার আগে কেন সেটা করা হয়নি। অর্থাৎ রাজ্য সব জানত। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ভাঙার দরকার আছে।

এরপরই রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “আমরা কিন্তু চাকরি প্রার্থীদের তরফে কিছু বলতে আসছি না।” পাল্টা সওয়াল করেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এটা তো আরই ভাল, রাজ্য চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কিছু বলতে চাইছে না। বলছে সিবিআই দিয়ে তদন্তের করাবে।” এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ, স্পষ্ট করে গ্রুপ সিতেও দুর্নীতি হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে গ্রুপ ডি-র অনুসন্ধান কমিটির হাতেই গেল গ্রুপ সির তদন্তভার।

চলতি মাসে গ্রুপ ডি-র মতো গ্রুপ সি-তেও নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ৩৫০ জন গ্রুপ সি কর্মী নিয়োগ ঘিরে প্রশ্ন ওঠে আদালতে। ৩৫০ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এই নিয়োগ ঘিরে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলাতেও একই ধরনের নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত, ৩৫০ জনের নিয়োগ ভুয়ো বলে মামলা দায়ের হয়। অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধ করার কথা বলেন বিচারপতি।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, জেলা স্কুল পরিদর্শক দেখবেন যেন এই ৩৫০ জন বেতন না পান। শুধু তাই নয়, ৩৫০ জনকে এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তাও ফেরাতে হবে বলেই আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। এরপরই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। এদিন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন দুর্নীতি হয়েছে। স্থগিতাদেশ দেন সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে।

আরও পড়ুন: Kolkata Bike Accident: কানে এসেছিল অদ্ভূত শব্দ, মধ্যরাতে এক ব্যক্তি গাড়ি দাঁড় করিয়ে কলকাতার রাস্তায় সমবয়সী দুই যুবককে যে অবস্থায় দেখলেন…