Renewable Energy: পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নবীকরণ শক্তির সম্ভাবনা কেমন? গবেষণাপত্র প্রকাশ করল পুণে IITM

Solar Power: গবেষক পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “ভবিষ্যতে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা কমে আসবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভালভাবে প্রস্তুত থাকা ভীষণ দরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় সম্ভাবনা বেশ ভাল।"

Renewable Energy: পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নবীকরণ শক্তির সম্ভাবনা কেমন? গবেষণাপত্র প্রকাশ করল পুণে IITM
সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 7:00 PM

কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গে পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে সম্পতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাপত্রটি লিখেছেন পুণের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল মিটিওরোলজি। সেখানে রাজ্যের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সংক্রান্ত নীতির উল্লেখ করা হয়েছে। যা ২০১২ সালে তৈরি হয়েছিল। সেটি অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট সৌরশক্তির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ১৭৬ মেগাওয়াটই সৌরশক্তি উৎপাদন করতে পেরেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৩৫ শতাংশ। একইরকমভাবে ২০২২ সালের মধ্যে ৪৫০ মেগাওয়াট বায়ুশক্তির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এমএনআরই-র হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে বায়ু শক্তির হিসেব শূন্য। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের হিসেব অনুযায়ী ২.৫ মেগাওয়াট।

ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের অন্তর্গত আইআইটিএম পুণের এই গবেষণাপত্রটি তৈরি করেছেন টিএস আনন্দ, দীপা গোপালকৃষ্ণণ এবং পার্থসারথি মুখোপাধ্য়ায়। তাঁরা বিভিন্ন আধুনিক জলবায়ু মডেল ব্যবহার করে এই গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের সেই গবেষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে, পশ্চিমবঙ্গ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা ২০ শতাংশ বাড়াতে পারে। রাজ্য বর্তমানে সোলার রুফটপ পরিকল্পনাকে আরও মজবুত করছে। বর্তমানে রাজ্যের ১ হাজার ৯৫৪ টি স্কুলের ছাদে সোলার প্যানেল রয়েছে। গবেষণার সময় অনুযায়ী, আরও ১ হাজার ৮৯০ টি স্কুল এর আওতায় যুক্ত করার কাজ চলছিল।

গবেষক পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলির উপর প্রভাবের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের গবেষণায় পশ্চিমবঙ্গের যে চ্যালেঞ্জ এবং সুবিধাগুলি রয়েছে, সেগুলিকে একটি ক্লাসিক কেস হিসেবে দেখা যেতে পারে। ভবিষ্যতে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা কমে আসবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ভালভাবে প্রস্তুত থাকা ভীষণ দরকার। তবে পশ্চিমবঙ্গ সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা হওয়ায় সম্ভাবনা বেশ ভাল।”

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক (MNRE)-এর তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের সৌর শক্তির ক্ষমতা ২০১৬ সালে ছিল ৭.৭ মেগাওয়াট। ২০২২ সালের জুন মাসে তা বেড়ে হয়েছে ১৭৬ মেগাওয়াট। এমএনআরই-র তথ্য অনুযায়ী, গ্রিড প্রকল্পের মাধ্যমে এবং রাজ্যে রুফটপ সোলারের মাধ্যমে ৫ হাজার ৩৩৬ মেগাওয়াট সৌর শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

এই গবেষণাপত্রে বায়ুশক্তির সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং আশপাশের অঞ্চলগুলি বেশিরভাগ জলবায়ু মডেলগুলিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখা যায়। পার্থ সারথি মুখোপাধ্যায় বলেন, “বর্ষার মাসগুলিতে আরও হাওয়া এবং আকাশ মেঘলা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ এই অঞ্চলটিতে ভবিষ্যতে ইতিবাচক সম্ভাবনাও রয়েছে, যা ভারতের বাকি অংশের মতো নয়।”

এই গবেষণাপত্রের বিষয়টি চলতি মাসের ২ অগস্ট সংসদেও উত্থাপিত হয়েছিল। রাজ্যসভায় প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর যে প্রভাব পড়ছে, তার জন্য কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং বলেছিলেন, পুনর্নবীকরণ শক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করা হচ্ছে এবং মন্ত্রক থেকেও অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। সোলার সেলের ক্ষমতা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল