SSC Corruption: টানা ১০ ঘণ্টা সিবিআই জেরার মুখে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, বাজেয়াপ্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি

SSC Corruption: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শহরের নানা প্রান্তে জোরদার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। সেই তল্লাশি অভিযানে বৃহস্পতিবার সকাল ৯:১৫ নাগাদ সল্টলেকের নিবেদিতা ভবনের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআইয়ের ১১ জনের তদন্তকারী দল।

SSC Corruption: টানা ১০ ঘণ্টা সিবিআই জেরার মুখে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, বাজেয়াপ্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি
ছবি - চাপে কল্যানময়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 8:01 PM

কলকাতা: তদন্তে কেন আসছে না গতি? এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Corruption:) সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তোপের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাটাক্ষের মুখে পড়েই এবার তদন্তে গতি আনতে নতুন উদ্যোমে মাঠে নেমেছে সিবিআই। এদিকে এর আগে বারবার তলব করা সত্ত্বেও সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দেননি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। শেষ পর্যন্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের কাদাপাড়ার আবাসনে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখান থেকেই তাঁকে সরাসরি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে এসে চলে জেরা। অবশেষে প্রায় প্রায় ১০ ঘণ্টা পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে বের হয় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শহরের নানা প্রান্তে জোরদার তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। সেই তল্লাশি অভিযানে বৃহস্পতিবার সকাল ৯:১৫ নাগাদ সল্টলেকের নিবেদিতা ভবনের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআইয়ের ১১ জনের তদন্তকারী দল। তবে সেখানে সেই মুহূর্তে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি উপস্থিত না থাকায় সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়কে। 

এরপরই কল্যাণময় গাঙ্গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে পর্ষদে আসতে নির্দেশ দেয় সিবিআই। তবে তারপরেও কল্যাণময় গাঙ্গুলি পর্ষদে না এসে পৌঁছালে তাঁর কাদাপাড়া এলাকার আবাসনে হানা দেয় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। সেখান থেকেই কল্যাণময় গাঙ্গুলিকে বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ নিজের গাড়িতেই কার্যত নজরবন্দি করে পর্ষদের দফতরে নিয়ে আসেন সিবিআই তদন্তকারীরা। তারপর তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে সিবিআই। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয় বলেও সূত্রের খবর। এরপরই সন্ধ্যা ৭:১০ নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পর্ষদ অফিস থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পর্ষদ থেকে বেরিয়ে যান পর্ষদের অ্যাডমিন পারমিতা রায়। বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সেই নথি এবং দুজনের রেকর্ডেড বয়ান উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দেখানো হবে। এরপরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।