Parliament Security Breach: ডায়েরিতে ইনকিলাব, বইয়ের তাকে হিটলার, তলায় তলায় দেশে হাত পাকাচ্ছে নতুন সংগঠন?
Parliament Attack: ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ডায়েরি তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে একদিকে যেমন তাঁর ভাবনা জানার কাজটা সহজ হবে, তেমনই সংসদে হানার পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও নতুন কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতা: কেউ ছিলেন কৃষক আন্দোলনে, কুস্তিগিরদের ঝাঁঝালো আন্দোলনের মধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন যন্তরমন্তরে, কেউ ভগত সিংয়ের পাশাপাশি পড়ে ফেলেছেন হিটলারের আত্মজীবনীও। সংসদে ধোঁয়াকাণ্ডে তদন্তকারীদের হাতে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত সাগর শর্মার ডায়েরিতে মিলেছে ঘর ছাড়ার ইঙ্গিত। অভিযুক্ত সাগরের ডায়েরিই এখন তদন্তে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। সেখানেই মিলেছে তাঁর ঘর ছাড়ার ইঙ্গিত। সূত্রের খবর, ২০১৫ সাল থেকে ডায়েরি লিখছেন পেশায় ই-রিক্সা চালক সাগর। সেই ডায়েরির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে দেশের আর্থ-সামজিক ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ। ‘পচে যাওয়া’ সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধেও একাধিক জায়গায় জোরালো সওয়াল করেছেন সাগর। ‘স্বাধীনতা যুদ্ধ’ শুরুর কথাও রয়েছে তাঁর ডায়েরিতে। পাতায় পাতায় রয়েছে দেশের জন্য আত্মবলিদানের উল্লেখ। একাধিক পাতায় লেখা ইনকিলাম জিন্দাবাদ স্লোগানও। একইসঙ্গে সাগরের বইয়ের তালিকায় আবার রয়েছে হিটলারের আত্মজীবনী।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ডায়েরি তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে একদিকে যেমন তাঁর ভাবনা জানার কাজটা সহজ হবে, তেমনই সংসদে হানার পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও নতুন কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, একদিকে যেমন তাঁর বাড়ি থেকে ভগৎ সিংয়ের আত্মজীবনী পাওয়া যাচ্ছে, তেমনই আবার হিটলারের আত্মজীবনী ‘মেঁই ক্যামফ’ এর হিন্দি অনুবাদও মিলছে। তাঁর ডায়েরি, সংগ্রহে থাকা বই থেকে তাঁর ও তাঁর দলের রাজনৈতিক মতাদর্শ বোঝার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে ধৃত নীলম ভার্মা আবার কয়েক বছর আগে দেশ উত্তাল করা কৃষক অন্দোলনেও নিয়মিত উপস্থিত থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি গত ২৮ জুন মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন নির্যাতন নিয়ে যন্তন-মন্তরে যে প্রতিবাদ হয়েছিল সেখানেও ছিলেন এই হরিয়ানার এই তরুণী। তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলে নাম না থাকলেও, বিভিন্ন ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর যোগ পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, হরিয়ানাতে একশোদিনের কাজের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার ক্ষেত্রেও তাঁর হাত ছিল। এলাকায় তিনি আবার ক্রান্তিকারি হিসাবে পরিচিত। অন্যদিকে ধৃত ললিতদের কাছ থেকে আবার স্বামী বিবেকানন্দ, ভগত সিং, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের উপরে লেখা বই পাওয়া গিয়েছে। এই সব সুতোগুলি মিলিয়েই তদন্তে নতুন মুখ দিতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাহলে কী তলায় তলায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নতুন কোনও সংগঠন তৈরি হয়েছে? তাঁরাই নতুন ধাঁচে রাজনীতি করতে চাইছে? ডাক দিচ্ছে সমাজবদলের? এই প্রশ্নটাও ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। তাঁদের মাথায় কোনও ‘বড়লোকের’ হাত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও নীলম-সাগর-ললিতদের দাবি, দেশে চলা ঘুণ ধরা সামাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রতিবাদ করতে চেয়েছিলেন। সে কারণেই সংসদে তাঁরা ওই কাজ করেছিলেন।