INTTUC-Jute Commission : পাট শিল্পকে বাঁচাতে এবার আসরে তৃণমূল, জুট কমিশনে ডেপুটেশন INTTUC-র
INTTUC: তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসির এক প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জুট কমিশনের অফিসে। সেখানে তাঁরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন জুট কমিশনারের কাছে।
কলকাতা : পাট শিল্পকে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক তর্জা চলছে বাংলায়। পাট শিল্পকে বাঁচাতে সরাসরি আন্দোলনের পথে নেমেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন কেন্দ্রকে। যদিও অর্জুনের বক্তব্য তাঁর লড়াই, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নয়, তাই লড়াই এই সিস্টেমের বিরুদ্ধে। আর এরই মধ্যে পাট শিল্পকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে কোমর বেঁধেছে রাজ্যের শাসক শিবিরও। পাট শিল্পকে ধ্বংসের প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন আইএনটিটিইউসির। তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসির এক প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জুট কমিশনের অফিসে। সেখানে তাঁরা একটি স্মারকলিপি জমা দেন জুট কমিশনারের কাছে।
আইএনটিটিইউসির দাবি, কুইন্টাল প্রতি পাটের যে দাম সাড়ে ছয় হাজার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার নির্ধারিত করে রেখেছে, সেটিকে তুলে নিতে হবে। কারণ, এই অবস্থায় যদি এই নির্ধারিত মূল্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে ক্ষতির মুখে পড়বেন পাট চাষিরা এবং চটকলগুলি। সেই ক্ষতির প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করে দিয়েছে বাংলায়। রাজ্যের একাধিক চটকল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকার যাতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করে সেই দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তাদের আরও বক্তব্য, দেশের প্লাস্টিক লবিকে সাহায্য করে দিতেই এইভাবে অবহেলা করা হচ্ছে। মূলত প্লাস্টিক লবির চাপের জন্যই এই চট শিল্পকে কার্যত মেরে ফেলা হচ্ছে। তাদের দাবি, প্লাস্টিক লবির চাপে কোনওভাবে এই শিল্পকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, বাংলায় পাট উৎপাদন সর্বাধিক। পাটের ফলন এই বছরও ভাল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি কুইন্টাল প্রতি দাম যদি সাড়ে ছয় হাজার টাকায় আটকে রাখা হয়, দাম বাড়াতে পারছেন না পাট চাষিরা।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অর্জুন সিংয়ের দরবার করা নিয়ে বিজেপি সাংসদকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বেচারাম মান্না। বেচারামের বক্তব্য, “ওনাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যে আনছি না। আমরা জানি রাজনীতিতে অনেক সুযোগ সন্ধানী খেলোয়াড় থাকেন। সেই সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এতদিন সংসদে আছেন, কোনওদিন প্রতিবাদ করেননি। আজ যখন তৃণমূল কংগ্রেস রাস্তায় নামছে, তখন ঘুম ভাঙছে।” যদি অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, “এটা ইউনিয়নের আন্দোলন। ২১ টি ইউনিয়ন এই লড়াই করছে। ২১ টি ইউনিয়ন বাদ দিয়ে এই সমঝোতা হতে পারে না। এই জন্য ইউনিয়নের লড়াই আলাদা হয়, পার্টির রাজনীতি আলাদা হয়।”