‘আমাদের বিচার্য বিষয় নয়,’ অশোক দেবের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় মন্তব্য বিচারপতির

TMC MLA: মামলার বয়ানে অভিযোগকারী আইনজীবী দাবি করেছেন যে, যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে রয়েছে, ভোটে লড়তে গেলে প্রার্থীদের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়, সেখানে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় অশোক একাধিক পদে বহাল ছিলেন।

'আমাদের বিচার্য বিষয় নয়,' অশোক দেবের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় মন্তব্য বিচারপতির
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2021 | 4:42 PM

কলকাতা: আশোক দেব (Ashok Kemar Deb) -এর বিধায়ক পদ খারিজ এর মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচার্য বিষয় নয়। এমনই মন্তব্য করে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা শুনতেই চাইলেন বিচারপতি রাজশেখার মান্থার। তিনি জানান, চাইলে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারেন মামলাকারী।

ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় ইস্তফা না দিয়ে একাধিক পদ আঁকড়ে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব। এই অভিযোগে তাঁর বিধায়কের পদ খারিজের দাবিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী শঙ্খশুভ্র মুখোপাধ্যায়। এদিন মামলাকারীর আইনজীবীর তরফ থেকে জানানো হয় বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি আশোক দেব বেঙ্গল বার কাউন্সিলের পদে থেকে আর্থিক সাহায্যও নিচ্ছেন।

যদিও এর প্রতিবাদ করেন বিবাদী পক্ষের আইনজীবী। অশোক দেবের আইনজীবী দাবি করেন এটা সাম্মানিক পদ। এই সওয়াল নিয়ে যখন কোর্টরুম উত্তপ্ত তখন বিচারপতি মান্থার জানিয়ে দেন এই সংশ্লিষ্ট মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচার্য বিষয় নয়। বিচারপতি এই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চের এক্তিয়ারভুক্ত করার কথা জানান।

উল্লেখ্য, বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে এই মামলা দায়ের হয়। মামলার বয়ানে অভিযোগকারী আইনজীবী দাবি করেছেন যে, যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে রয়েছে, ভোটে লড়তে গেলে প্রার্থীদের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়, সেখানে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় অশোক একাধিক পদে বহাল ছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, ওয়েস্ট বেঙ্গল বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদেও বহাল ছিলেন অশোক দেব। সেক্ষেত্রে কমিশনের নিয়ম অমান্য করেছেন তিনি।

ভোটে লড়ার আগে সেই পদ থেকে ইস্তফা দেননি তৃণমূল নেতা। সেই কারণে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে মামলা করা হয় হাইকোর্টে। অশোকবাবু বার কাউন্সিলের চেয়াম্যান হিসেবে নির্দিষ্ট বেতন পান বলে দাবি করা হয় এবং সেই পদ না ছেড়েই তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছেন এবং জিতেওছেন। এছাড়াও তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠেছে। এই সব কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। যদিও এদিন সেই মামলা সিঙ্গেল বেঞ্চ থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। আরও পড়ুন: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাস বয়কট করতে পারেন আইনজীবীদের একাংশ